
প্রিন্ট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৮ পিএম
দ্রুত খাবার খেয়ে নিজের বিপদ টানছেন নাতো?

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
আপনি কি মাত্র ২০ থেকে ৩০ মিনিটেরও কম সময়ে সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার কিংবা রাতের খাবার শেষ করে ফেলেন? তাহলে এবার একটু থামুন ও ভেবে দেখুন—এই দ্রুত খাবার খাওয়ার অভ্যাস আপনার শরীরের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু পুষ্টিকর খাবারই যথেষ্ট নয়—ধীরে ধীরে সময় নিয়ে চিবিয়ে খাওয়াটাও সমানভাবে জরুরি। শাকসবজি ও ফলমূল যতটা দরকার, তেমনি প্রয়োজন ধৈর্য ধরে খাওয়া।
দ্রুত খাওয়ার ক্ষতি কী কী?
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের সেন্টার ফর বিহেভিয়রাল হেলথের বিশেষজ্ঞ লেসলি হেইনবার্গ বলেন, পেট ভরে গেছে—এই সংকেত পাকস্থলী থেকে মস্তিষ্কে পৌঁছাতে প্রায় ২০ মিনিট সময় লাগে। এর আগেই যদি খাওয়া শেষ হয়ে যায়, তাহলে মস্তিষ্ক সেই বার্তা ঠিকমতো পায় না। এতে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়, বাড়ে মেদ ও ওজন।
দ্রুত খাওয়ার ফলে খাবার গলায় আটকে যাওয়ার আশঙ্কা, হজমে সমস্যা, বদহজম, এমনকি পুষ্টি ঠিকমতো শোষিত না হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
সমস্যার চেয়েও বড় কথা—সমাধান আছে:
এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসার কিছু কার্যকর পদ্ধতি দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
খাবার সময় টেলিভিশন বা মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকুন।
ধীরে ধীরে খেতে চেষ্টা করুন, বিশেষ করে একেক কামড়ে বেশি করে চিবিয়ে খান।
খাবারের মাঝখানে বিরতি নিন।
হাত বদল করে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন কিংবা চপস্টিক ব্যবহার করে অভ্যাসে পরিবর্তন আনুন। ফাস্টফুডের পরিবর্তে এমন খাবার খান যেগুলো চিবাতে সময় লাগে, যেমন শাকসবজি বা প্রোটিন জাতীয় খাবার।
মনোযোগ দিয়ে খাবার উপভোগ করুন
ব্রিটিশ পুষ্টি কোম্পানি জোইয়ের প্রধান গবেষক সারাহ বেরি এবং মনোবিজ্ঞানী হেলেন ম্যাকার্থির মতে, খাবারের স্বাদ ও গুণাগুণ বুঝে খেতে গেলে অনেকেই অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন।
একজন রোগীর অভিজ্ঞতার কথাও শোনান হেলেন, যিনি ধীরে ধীরে আলুর চিপস খেতে গিয়ে বুঝতে পারেন সেগুলোর স্বাদ তার কাছে আর উপভোগ্য মনে হচ্ছে না। ফলে একসময় তিনি নিজেই তা বাদ দেন।
সুতরাং, শুধু কী খাচ্ছেন তা নয়—কীভাবে খাচ্ছেন, সেটাও আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখবেন, ধীরেসুস্থে খাওয়া শুধু শরীরের জন্য ভালো নয়, এটি একজন রাঁধুনীর প্রতি সম্মানও।
রাই