ছবি : সংগৃহীত
ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া স্বাভাবিক হলেও সঠিক পুষ্টির মাধ্যমে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং কোলাজেন সমৃদ্ধ বিশেষ কিছু ‘অ্যান্টি-এজিং’ জুস বা পানীয় ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে ডালিম, বিট ও আপেলের মিশ্রণ অত্যন্ত কার্যকর। ডালিমের পলিফেনল এবং বিটের আয়রন শরীরে প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।
১. একটি আপেল, একটি ছোট বিট ও এক কাপ ডালিমের বীজের সাথে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে তৈরি করা এই জুস যেমন হজমশক্তি বাড়ায়, তেমনি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয়।
২. গাজর, শসা, আদা এবং ডাবের জলের সংমিশ্রণে তৈরি ‘মিক্সড ভেজিটেবল জুস’ দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখার পাশাপাশি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে।
৩. হলুদ ও আনারসের সংমিশ্রণে তৈরি পানীয় বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আনারস ও কমলালেবুর ভিটামিন সি এবং হলুদের কারকিউমিন উপাদান কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে, যা ত্বকের ঝুলে পড়া রোধ করে। এই পানীয়র কার্যকারিতা বাড়াতে এক চিমটি গোলমরিচ যোগ করা যেতে পারে।
৪. শরীরকে ডিটক্সিফাই বা দূষণমুক্ত করতে সবুজ আপেল, শসা ও পালং শাকের জুস অতুলনীয়। পালং শাকের ভিটামিন এবং শসার জলীয় উপাদান ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে, যার ফলে মুখে বলিরেখা সহজে পড়ে না।
৫. ত্বকের জেল্লা বাড়াতে অ্যালোভেরার জুস হতে পারে আপনার প্রতিদিনের সঙ্গী। অ্যালোভেরা জেল বের করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়ে তাতে সামান্য মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যায় চমৎকার এই পানীয়। এটি ভিটামিন বি-১২ এর একটি বড় উৎস, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি যোগায়। নিয়মিত এই প্রাকৃতিক পানীয়গুলো গ্রহণ করলে কেবল ত্বক নয়, হার্ট এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যও উন্নত হয়। তাই কৃত্রিম প্রসাধনীর ওপর নির্ভর না করে দীর্ঘস্থায়ী সৌন্দর্যের জন্য এই ঘরোয়া ও পুষ্টিকর পদ্ধতিগুলো বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।



