দেশে প্রথমবার সারাদেশে একযোগে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২২ এএম
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি। ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে বিনামূল্যে ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আজ শনিবার সকালে এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
রোববার (১২ অক্টোবর) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে রাজধানীর আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানা কেন্দ্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম আনুষ্ঠানিকভাবে সারাদেশে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, টাইফয়েডে এখনও দেশের শিশুদের মৃত্যু হয়—এটা আমাদের জন্য লজ্জার। ডায়রিয়া, রাতকানা রোগসহ অনেক কিছু আমরা প্রতিরোধ করতে পেরেছি। এবার টাইফয়েড প্রতিরোধেও সফল হব, ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এখন সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হলো রোগ প্রতিরোধ। যত বেশি মানুষ, বিশেষ করে শিশুদের টিকার আওতায় আনা যাবে, ততই হাসপাতালে ভিড় ও চাপ কমবে। টাইফয়েড এমন একটি রোগ, যা সচেতনতা ও টিকাদানের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্রতিটি শিশুর কাছে টিকা পৌঁছে দিতে পারলে দেশে টাইফয়েডে মৃত্যুর ঘটনা কার্যত বন্ধ করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। তিনি বলেন, টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুধু একটি স্বাস্থ্য প্রকল্প নয়, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। দীর্ঘদিন ধরে টাইফয়েড নীরব বিপদ হিসেবে থেকে গেছে, বিশেষ করে নিম্নআয়ের পরিবারের শিশুদের জন্য। সরকারের এই উদ্যোগ শিশুস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।
এক মাসব্যাপী এই জাতীয় ক্যাম্পেইনে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের বিনামূল্যে এক ডোজ ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, জন্মসনদ না থাকলেও কোনো শিশু এই টিকার বাইরে থাকবে না, যাতে কেউ বাদ না পড়ে।
এই প্রথম সারাদেশে জাতীয় পর্যায়ে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হচ্ছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে টিকাটি, যা সরকার পেয়েছে আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন সহায়তা সংস্থা গ্যাভির সহায়তায়।



