‘ছেলের নামে কোনো হলের নামকরণ করা হোক’
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৫, ১০:২১ পিএম
আন্দোলনে আহত ডা: সজিব সরকারের বাবা তার ছেলের নামে কোনো হল, কোনো মেডিক্যাল কলেজ অথবা কোনো রাস্তার নামকরণের দাবি করেন। তিনি তার ছেলে ডা: সজিব সরকারের লেখাপড়া এবং সজিব সরকার পাস করে ডাক্তার হওয়ায় তার সংসারের হাল ধরে তাকে দায়িত্ব মুক্ত করেছিলেন সেই কাহিনী বলেন। কিন্তু স্বৈরাচারের পুলিশ নৃশংসভাবে হত্যা করে সজিবের স্বপ্ন এবং তার নিজের স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছে সেই কাহিনী বলেন উপস্থিতদের উদ্দেশে।
আজ শনিবার চিকিৎসকদের প্রতিরোধ দিবস (ডক্টরস রেজিস্ট্যান্স ডে) উপলক্ষে আয়োজিত চিকিৎসকদের গল্প অনুষ্ঠানে চিকিৎসকরা বলেন, জুলাই আন্দোলনের সফলতা কারো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের একার না। এ আন্দোলন সবার। এটা গত ১৬ বছর যাবৎ ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের ধারাবাহিকতার ফসল।
শনিবার (২ আগস্ট) বাংলাদেশ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির মিল্টন হলে আয়োজিত চিকিৎসকদের এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সহ-সম্পাদক ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা: নজরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা: রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন শহীদ ডা: সজিব সরকারের বাবা হালিম সরকার। প্রধান বক্তা ছিলেন টিভি টকশো ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির ডেন্টাল অনুষদের ডিন ডা: সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ, অতিথি আলোচক ছিলেন অসংখ্য আহত জুলাই যোদ্ধার চিকিৎসক ডা. আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
চিকিৎসকদের গল্প অনুষ্ঠানে ঢাকার শহরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা আন্দোলনকালীন তাদের নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এই চিকিৎসকদের কেউ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা দিয়েছেন। আওয়ামী চিকিৎসকদের হয়রানি, বদলি করে দেয়া, পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার হুমকি সত্ত্বেও এই চিকিৎসকরা আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসক দিয়েছেন। এরাই আবার হাসপাতালে নির্দিষ্ট দায়িত্ব শেষ করে রাজপথে অন্যদের সাথে কিভাবে আন্দোলনে শরীক হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন সেই গল্প বলেন।



