Logo
Logo
×

ফিচার

দুর্বলতা কাটাতে যে খাবার খেতে হবে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৮ পিএম

দুর্বলতা কাটাতে যে খাবার খেতে হবে

দুর্বলতা কাটাতে যে খাবার খেতে হবে

কর্মব্যস্ততার যুগে কাজটাই প্রাধান্য থাকে। মাঝে মাঝে নিজের শরীরের যত্নের কথাও যেন ভুলে যেতে হয়। কাজের ফাঁকে কখনো কখনো শরীরটা বেশ দুর্বল হয়ে ওঠে। শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে নিয়মিত। মানতে হবে অন্যান্য স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। এমন অনেক খাবার আছে যেগুলো নিয়মিত খেলে শরীরে দ্রুত শক্তি ফিরে আসে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো খেলেই দূর হবে দুর্বলতা। এমনকী রোগ থাকবে দূরে। এরমধ্যে ভিটামিন-সি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন-সির অভাব পূরণে বেশি করে টকজাতীয় ফল যেমন-কমলা, লেবু, আঙুর খেতে হবে। এ ছাড়া কিউই, লেটুসপাতা, পালংশাক ও মরিচ বেশি খেতে পারেন। এছাড়াও দুধ, ডিম, কলা ও কাজুবাদামেও দূর হয় শারীরিক দুর্বলতা।

জেনে নিন দুর্বলতা কাটানোর খাবারগুলো সম্পর্কে-

দুগ্ধজাত খাবার: গবেষকরা বলছেন, নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় লো ফ্যাট ডেয়ারি ফুড গ্রহণ করলে শরীর ভেতর থেকে সুস্থ হয়। এই ধরনের দুগ্ধজাত খাবারে রয়েছে উচ্চ গুণাগুণ সম্পন্ন প্রোটিন, কার্ব, এসেনসিয়াল প্রোটিন, ভিটামিন, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম ইত্যাদি। তাই এই খাবারগুলো অবশ্যই ডায়েটে রাখার পরামর্শ পুষ্টিবিদদের। চাইলে বাজার থেকে লো ফ্যাট দুধ কিনে ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন দই কিংবা ছানা। কিছুদিন এই খাবার খেলে শারীরিক সুস্থতার পার্থক্য বোঝা যাবে সহজেই।

ফলমূল ও শাকসবজি: পুষ্টিবিদদের মতে, যেকোনো শাকসবজি ও ফলমূল হচ্ছে ডায়েটের ভিত। এসব খাবার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে থাকা ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ ও ফ্লুইড শরীর সুস্থ রাখে। এমনকী পেশি তৈরিতেও সাহায্য করে। তবে এতে বেশি পরিমাণে প্রোটিন থাকে না। প্রোটিনের সংস্থান করতে এসব খাবারের পাশাপাশি অন্যান্য খাবারও খেতে হবে। তবেই পেশির ক্ষমতা বাড়বে, অসুখ থাকবে দূরে, কেটে যাবে শরীরিক দুর্বলতা।

ডিম: ডিম শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি প্রোটিনের ভালো উৎস। শুধু তাই নয়, দেহ এই প্রোটিন অত্যন্ত সহজে গ্রহণ করে নেয়। তবে অনেকেই ডিমের সাদা অংশ খেয়ে কুসুম ফেলে দেন। এটা ঠিক না। কারণ কুসুমে রয়েছে লিউটিন, যা চোখের জন্য ভালো। তাই কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস না থাকলে অনায়াসে ডিমের কুসুম খেতে পারেন।

কম চর্বিযুক্ত মাংস: মাংসে প্রচুর পরিমাণে খনিজ-পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সোডিয়াম থাকে। চর্বিহীন মাংসে ক্লোরাইড, বাইকার্বোনেট ও অ্যাসিড ফসফেট থাকে যা দেহ সুরক্ষিত রাখে। তাই পেশির ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে কম চর্বিযুক্ত মাংস খেতে হবে। আর খাবার তালিকা থেকে একেবারেই বাদ দিতে হবে রেডমিট। এছাড়া খেতে পারেন মুরগির মাংস। তবে মুরগির সব অংশের মধ্যে বুকের মাংস খাওয়া ভালো। এই অংশের মাংসে থাকে না চর্বি। আর এই ধরনের মাংসে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে প্রোটিন। ফলে পেশি তৈরিতে সাহায্য করে। সেই উপকার পেতে চাইলে নিয়মিত খাওয়া শুরু করে দিন।

উদ্ভিজ্জ প্রোটিন: শিমের বীজে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন রয়েছে। এই প্রোটিন দেহের জন্য উপকারী। এছাড়া ওটস, ডালিয়ার মতো হোল গ্রেইনে রয়েছে ভরপুর ফাইবার যা রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে, ওজন কমায়। পাশাপাশি বাদাম খান। আমন্ড, পেস্তা, ওয়ালনাট খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। এতে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফলে পেশির জোর বাড়ে কয়েকগুণ।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন