Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

মর্যাদা ও ভবিষ্যত সমৃদ্ধির জন্য আন্দোলনকারীদের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩২ পিএম

মর্যাদা ও ভবিষ্যত সমৃদ্ধির জন্য আন্দোলনকারীদের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র

মর্যাদা ও ভবিষ্যত সমৃদ্ধির জন্য আন্দোলনকারীদের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বলপ্রয়োগের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দুই মার্কিন সিনেটর। যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের এই দুই সদস্য হলেন বেন কার্ডিন ও কোরি বুকার। 

মার্কিন ফরেন রিলেশনস কমিটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের  ঘটনায় জরুরি ভিত্তিতে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। এর মধ্যে বেন কার্ডিন সিনেট ফরেন রিলেশনস কমিটির চেয়ার হিসেবে নিযুক্ত আছেন।

গতকাল মঙ্গলবার সিনেট ফরেন রিলেশনস কমিটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধার অভাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং সরকারি চাকরিতে বৈষম্যপূর্ণ কোটা ব্যবস্থার অবসানের দাবিতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমেছিল। ওই কোটা ব্যবস্থার আওতায় বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী যোদ্ধাদের স্বজনের জন্য সরকারি চাকরিতে কোটা রাখা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ন্যায্য দাবিগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত না থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নসহ (র্যাব) বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীগুলো নৃশংসভাবে বলপ্রয়োগ করেছে। কয়েকশ বিক্ষোভকারীকে হত্যা করা হয়েছে। আরও হাজার হাজার মানুষ গ্রেফতারের শিকার ও আহত হয়েছেন।’

বিবৃতিতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও বিক্ষোভ করার অধিকারকে গণতান্ত্রিক সমাজের একটি ভিত্তি বলে উল্লেখ করেছেন এই দুই সিনেটর। 

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং তাদের অভিযোগগুলো আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করতে আমরা বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এসব সাহসী মানুষ, যারা নিজেদের মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য এবং একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য দাঁড়িয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে আছে। আমরা বাংলাদেশে মানবাধিকার নিশ্চিতের পক্ষে কথা বলে যাব। যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার কথা বলে যাব।’

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন