ছবি- সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের টিকা কমিটির সবাইকে বরখাস্ত করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেনেডি। কেনেডি তার সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক সম্পাদকীয়তে বলেছেন, অ্যাডভাইজরি কমিটি অন ইমিউনাইজেশন প্র্যাকটিসেসের (এসিআইপি) সদস্যদের ‘স্বার্থের দ্বন্দ্ব’ টিকার প্রতি জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ণ করেছে।কেনেডির দাবি, কমিটির অধিকাংশ সদস্যই ওষুধ কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ পেয়েছেন।
তার ভাষায়, “এসিআইপির বেশিরভাগ সদস্যই ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য পয়সাকড়ি পেয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছে টিকা বিপণনকারী কোম্পানিও।”
এসিআইপির ১৭ সদস্যের মধ্যে আটজনকেই নিয়োগ দিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন, চলতি বছরের জানুয়ারিতে। বেশিরভাগ সদস্যই নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মতে, “এই কমিটি যদি তিনি ভেঙে না দিতেন, তাহলে ২০২৮ সাল পর্যন্ত নতুন সদস্য নিয়োগ করতে পারত না ট্রাম্প প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরে এই কমিটি স্বার্থের দ্বন্দ্বে জর্জরিত এবং যেকোনো টিকার অনুমোদনে নামমাত্র সিলমোহরের ভূমিকা পালন করছে।”
কেনেডির দীর্ঘদিনের টিকাবিরোধী মনোভাব নিয়ে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বরাবরই উদ্বিগ্ন। কেনেডি যদিও বলেছেন, তিনি টিকা ‘সরিয়ে নিচ্ছেন না’।
কেনেডির দাবি, তিনি আমেরিকানদের জন্য ‘সবচেয়ে নিরাপদ’ টিকা নিশ্চিত করতে চান।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোর্ড সদস্য হিসেবে কাদের আনবেন তা কেনেডি খোলাসা করেননি। আগামী ২৫ জুন এসিআইপির সভার জন্য দিন ঠিক করা হয়েছে, যেখানে কোভিড, ফ্লু, মেনিনজাইটিস, আরএসভিসহ বিভিন্ন রোগের টিকার সুপারিশ নিয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে।



