পাকিস্তানে সাম্প্রতিক হামলার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন, পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপের পাল্টা প্রতিক্রিয়া আরও জোরালো হতে হবে। শনিবার যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর রোববার (১১ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ভারতের সরকারি সূত্র জানায়, মোদি সেনাবাহিনীকে কড়া ভাষায় বলেন, “ওহা সে গোলি চলেগি, ইহা সে গোলা চলেগা”— অর্থাৎ পাকিস্তানের দিক থেকে গুলি এলে, ভারতের জবাবে মর্টার শেল বা আরও শক্তিশালী অস্ত্র ব্যবহার করা হবে।

এই মন্তব্য এসেছে এমন এক সময়, যখন ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামক সামরিক অভিযানে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে একাধিক স্থানে হামলা চালানো হয়। ভারতীয় যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষিপ্ত অস্ত্র দিয়ে পরিচালিত এই হামলার মাধ্যমে সীমান্তে পাকিস্তানি গোলাবর্ষণ ও ড্রোন হামলার ‘উপযুক্ত জবাব’ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করছে ভারত।

সরকারি সূত্র আরও জানায়, অপারেশন সিন্দুর এখনো শেষ হয়নি এবং এটি ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানের ‘নতুন দৃষ্টান্ত’ হয়ে উঠছে।

এদিকে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও ভারতের বেশ কয়েকটি স্থাপনায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ নানা অস্ত্র ব্যবহার করে আঘাত হানে। এই পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যেই উভয় দেশ শনিবার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।

কাশ্মির ইস্যুতে ভারতের অবস্থান এখন আরও দৃঢ়। সরকারি সূত্র বলছে, এই বিষয়ে কোনো আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা নয়, আলোচনা শুধুমাত্র “পাক অধিকৃত কাশ্মির ফেরত আনা” নিয়েই হতে পারে।

রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানান এবং কাশ্মির ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন। তিনি লেখেন, “হাজার বছরের বিরোধে যদি কোনও সমাধান সম্ভব হয়, আমি আপনাদের সঙ্গে কাজ করব।”

তবে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজনৈতিক আলোচনার সুযোগ আপাতত নেই। কেবলমাত্র দুই দেশের সামরিক বাহিনীর ডিজিএমও (ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস) পর্যায়ে যোগাযোগ চালু থাকবে।