সুদানের এল-ফাশেরে আরএসএফের হামলায় ৩০ জনের বেশি নিহত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২০ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে চলমান সহিংসতার অংশ হিসেবে পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুরের অবরুদ্ধ শহর এল-ফাশেরে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) বর্বর হামলায় অন্তত ৩০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি সোমবার (২১ এপ্রিল) স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীদের উদ্ধৃত করে এই তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিবার এল-ফাশের শহরের বসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে নির্বিচারে হামলা চালায় আরএসএফ। মানবাধিকার কর্মীদের বরাতে জানা যায়, হামলায় অনেকেই মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন এবং স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানে সামরিক বাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনী আরএসএফ-এর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে। সেনাবাহিনীর দখলে আছে দেশের কিছু এলাকা, আর আরএসএফ রাজধানী খার্তুমসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বসেছে।
এ দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতে দেশজুড়ে অসংখ্য বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়েছেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলো দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই যুদ্ধাপরাধ, জাতিগত নিধন এবং নারী নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছে। বিশেষ করে আরএসএফ-এর বিরুদ্ধে নারীদের ওপর পরিকল্পিত যৌন সহিংসতার অভিযোগ উঠেছে।
এই গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, যা ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ মানবিক সংকটে রূপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (IRC)।
এল-ফাশের শহর এখনও সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আরএসএফ সেখানে দখল নিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি শহরের আশপাশের জামজাম ও আবু শোউক শরণার্থী শিবিরে চালানো আরএসএফ-এর হামলায় ৪০০ জনেরও বেশি বেসামরিক নিহত হন এবং প্রায় ৪ লাখ মানুষ নতুন করে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
এ ধরনের আক্রমণ শুধু মানুষের জীবনকে বিপন্ন করছে না, বরং সুদানে সামগ্রিকভাবে এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে।



