জিম্মি মুক্তির ঘোষণা হামাসের, ইসরায়েলের সন্দেহ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলি বংশোদ্ভূত এক মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকমী সংগঠন হামাস। এছাড়া আরও চার দ্বৈত নাগরিকের মরদেহ হস্তান্তরের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে সংস্থাটি।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) হাসাম এই ঘোষণা দেয়। তবে ইসরায়েল এই ঘোষণাকে যুদ্ধবিরতি আলোচনা প্রভাবিত করার কৌশল হিসেবে দেখছে এবং হামাসের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী হামাস এখনো নিশ্চিত করেনি সৈন্য এদান আলেকজান্ডারকে কখন মুক্তি দেবে এবং মৃতদেহ চারটি কখন হস্তান্তর করবে—আর জিম্মি মুক্তি ও লাশ হস্তান্তরের বিনিময়ে তারা কী আশা করছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের অভিযানের সময় ১৯ বছর বয়সি সৈনিক আলেকজান্ডারকে দক্ষিণ ইসরায়েলের গাজা সীমান্তে তার ঘাঁটি থেকে জিম্মি করা হয়। ওই অভিযানটির পর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে মারাত্মক এবং সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের শুরু হয়।
তবে কোন মধ্যস্থতাকারী কী প্রস্তাব করেছে এবং হামাস কী নিয়ে আলোচনা করছে—তা যেমন স্পষ্ট নয়। মিশর, কাতার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার দিকনির্দেশনা দিচ্ছে এবং শুক্রবার রাত পর্যন্ত কেউই এই পরামর্শ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফসহ মার্কিন কর্মকর্তারা শুক্রবার বলেছেন, তারা বুধবার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও কয়েক সপ্তাহ বাড়ানোর প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। কর্মকর্তারা এক বিবৃতিতে বলেছেন, হামাস প্রকাশ্যে নমনীয়তা দাবি করছে। তবে এটি ব্যক্তিগতভাবে ‘সম্পূর্ণ অবাস্তব’ দাবি।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, ইসরায়েল ‘উইটকফের রূপরেখা গ্রহণ করেছে এবং নমনীয়তা দেখিয়েছে’, কিন্তু হামাস তা করেনি।
জিম্মি পরিবারগুলোরে কাছে সরকারের পাঠানো একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘একই সময়ে, এটি কারসাজি এবং স্নায়ুযুদ্ধ অব্যাহত রেখেছে। আমেরিকান জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাসের ইচ্ছার প্রতিবেদনগুলো আলোচনাকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।’
সূত্র : এপি নিউজ



