
প্রিন্ট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪২ এএম
ট্রাম্প-জেলেনস্কির বাগবিতণ্ডা : ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ এবং ন্যাটোর সংকট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৫, ০২:৪০ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
বিশ্বব্যাপী আলোচিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে ঘটিত নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার ঘটনা। এই ঘটনার পর, ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, তা বাতিল হয়ে যায়। এর ফলে ইউক্রেনের ভবিষ্যত নিয়ে নতুন প্রশ্ন উঠে এসেছে এবং বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বিশ্বখ্যাত সাংবাদিক জেরেমি বোয়েনের মতে, এই উদ্বেগের মূল কারণ ট্রাম্পের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করার চেষ্টা। যদিও ঘটনার পর ট্রাম্প তার এক্স একাউন্টে লিখেছেন, “যখন জেলেনস্কি শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, তখন তিনি ফিরে আসতে পারেন।”
ইউক্রেনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ভ্লাদিমির ফেসেঙ্ক এএফপিকে জানিয়েছেন, এখনই বলা যাচ্ছে না যে, ইউক্রেনের সঙ্গে মার্কিন মনোভাব কী হবে, তবে ভালো কিছু আশা করা ঠিক হবে না। ধারণা করা হচ্ছে, এই ঘটনায় ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা কমিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সম্পর্ক পূর্ব থেকেই ভালো ছিল না। শুক্রবারের তীব্র তর্ক-বিতর্কের পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্বের পর ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, ট্রাম্প ১৯৪৯ সালে হ্যারি ট্রুম্যানের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন কি না, যার অধীনে ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রের ওপর হামলা হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা হিসেবে গণ্য হবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একান্ত শান্তি আলোচনার দিকে এগিয়ে যেতে পারেন, যার ফলে ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে।
ইউক্রেন রাশিয়া ইউক্রেন সংকট রাশিয়া ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্র ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপ যুদ্ধ বিশ্ব সংবাদ