
প্রিন্ট: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০২:০১ এএম
দিল্লি রেলস্টেশনে পদদলিত হয়ে ১৮ জনের মৃত্যু, আহত বহু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩২ এএম

ছবি : সংগৃহীত
ভারতের নিউ দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে সৃষ্ট বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে পদদলিত হয়ে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে এই দুর্গটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ১১ জন নারী ও চারজন শিশু রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন এলএনজেপি হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১০ নারী, তিন শিশু ও দুই পুরুষ এলএনজেপি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। লেডি হার্ডিং হাসপাতালে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রেলওয়ে বিভাগ এ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি ও গুরুতর আহতদের ২ লাখ ৫০ হাজার রুপি এবং সামান্য আহতদের ১ লাখ রুপির সহায়তার কথা বলা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার রাত ৮টার দিকে স্টেশনের ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে প্রয়াগরাজগামী দুটি ট্রেন আসতে দেরি হওয়ায় যাত্রীদের অতিরিক্ত ভিড় তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং চারটি অগ্নিনির্বাপক গাড়ি ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দিল্লি পুলিশ ও রেলওয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে গেছে। হঠাৎ সৃষ্ট ভিড় সামলাতে বিশেষ ট্রেন চালানোর ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এটি আনুষ্ঠানিক পদদলনের ঘটনা নয়, বরং অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। ট্রেন আসার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা তাড়াহুড়ো করে ওঠার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায়। কিছু যাত্রী মাটিতে অজ্ঞান হয়ে পড়লে অন্যরা তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করেন।
এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, "নিউ দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে পদদলনের ঘটনায় আমি মর্মাহত। যারা আপনজন হারিয়েছেন, তাদের প্রতি আমার সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।"
প্রতি ১২ বছর পর একবার অনুষ্ঠিত মহাকুম্ভ মেলার কারণে এ বছর বিশেষ ট্রেনগুলোতে ব্যাপক ভিড় দেখা যাচ্ছে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি এ উৎসব শেষ হবে। এর আগে, ট্রেনে উঠতে না পেরে বিহারের মধুবনী রেলওয়ে স্টেশনে স্বতন্ত্র সেনানী এক্সপ্রেসের জানালার কাচ ভেঙে ফেলেন ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।
দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী আতিশি এই বিশৃঙ্খলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, যথাযথ পরিকল্পনার অভাবেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সূত্র : এনডিটিভি