টিউলিপের বোনের বিনামূল্যের ফ্ল্যাটের সন্ধান : দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২১ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাজ্যের এমপি এবং মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে উপহার দেয়া ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়ার পর এবার তার ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তির নামে উপহার দেয়া ফ্ল্যাটের খোঁজ মিলেছে। আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ এক আইনজীবী তাকে এই ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছিলেন। এর আগে লন্ডনের কিংসক্রস এলাকায় টিউলিপকে একটি ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের আরেক ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী আবদুল মোতালিফ। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের পরে, এবার দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য। প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন করে সন্ধান পাওয়া এই ফ্ল্যাটটি টিউলিপকে সরাসরি দেয়া হয়নি, বরং তার ছোট বোন রুপন্তির নামে দেয়া হয়েছিল।
রুপন্তির বয়স যখন ১৮ বছর এবং অক্সফোর্ডে পড়াশোনা শুরু করতে যাচ্ছেন, সেই সময় উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেডের ফিঞ্চলে রোডে তাকে ফ্ল্যাট উপহার দেন বাংলাদেশি আইনজীবী মঈন গনি। তিনি হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঈন গনির একটি ছবিও প্রকাশিত হয়েছে। ২০০৯ সালে রুপন্তির নামে ফ্ল্যাটটি হস্তান্তর করেছিলেন মঈন গনি। ভূমি রেজিস্ট্রি নথিতে বলা হয়েছে, রুপন্তির কাছ থেকে ফ্ল্যাটের জন্য কোনো টাকা নেয়া হয়নি। তবে এক সময় ফ্ল্যাটটিতে যুক্তরাজ্যের আলোচিত রাজনীতিবিদ ও মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক থেকেছেন। টিউলিপ ঠিক কখন ফ্ল্যাটটিতে থেকেছেন তা পরিষ্কার নয়, তবে ২০১২ সালের ডিসেম্বরের পরে তিনি ওয়ার্কিং মেনস কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার সময় কোম্পানি হাউসে তার ঠিকানা হিসেবে এই ফ্ল্যাটটির ঠিকানা তালিকাভুক্ত করেন।
২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ক্যামডেন আর্টস সেন্টারের দাতব্য প্রতিষ্ঠান এবং ২০১৪ সালের মার্চে হ্যাম্পস্টেড ওয়েলস এবং ক্যাম্পডেন ট্রাস্ট, আরেকটি অলাভজনক ট্রাস্টি হওয়ার ক্ষেত্রেও টিউলিপ এই ফ্ল্যাটের ঠিকানা ব্যবহার করেন। তার স্বামী ক্রিশ্চিয়ান পার্সিও মে ২০১৬ সালের শেষের দিকে এটিকে তার ঠিকানা হিসাবে তালিকাভুক্ত করেন। সেই সময় পর্যন্ত সিদ্দিক হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্নের লেবার এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে রুপন্তি ২০২১ সালে ৬ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে ফ্ল্যাটটি বিক্রি করেন।
রুপন্তির এই ফ্ল্যাটটি নিয়ে টিউলিপ কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তবে তার ঘনিষ্ঠ একজন জানিয়েছেন, তিনি কিছুদিন তার বোনের ফ্ল্যাটে ছিলেন।