উপহার হিসেবে লন্ডনে টিউলিপের বোনও পেয়েছেন ফ্ল্যাট
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৩১ পিএম
শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে এবং ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের দখলে থাকা আরও একটি ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। দ্য টেলিগ্রাফ এই দ্বিতীয় ফ্ল্যাটটির খবর প্রকাশ করেছে, যা আগে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস প্রথমটির তথ্য প্রকাশ্যে আনে।
টিউলিপ সিদ্দিক দীর্ঘসময় ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন এবং তিনি সেদেশের পার্লামেন্টে লেবার পার্টির একজন সদস্য ও বর্তমানে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশে দুর্নীতির তদন্তে তার পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তার নামও জড়িয়েছে।
দ্য টেলিগ্রাফ জানায়, দ্বিতীয় যে ফ্ল্যাটের কথা বলা হচ্ছে তাতে টিউলিপ সিদ্দিক বসবাস করতেন। এটি তার খালা, বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সূত্রে পাওয়া। তবে এই ফ্ল্যাটটি সরাসরি টিউলিপকে দেওয়া হয়নি। তার বোন আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তিকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন মঈন গনি নামের একজন বাংলাদেশি আইনজীবী, যিনি হাসিনা সরকারের লোক বলে পরিচিত।
সানডে টাইমসের মতে, মঈন গনি একজন বাংলাদেশি আইনজীবী, যিনি হাসিনার সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০০৯ সালে হ্যাম্পস্টেডের ফ্ল্যাটটি আজমিনার কাছে হস্তান্তর করেছিলেন তিনি। ভূমি রেজিস্ট্রি নথিতে বলা হয়েছে, টাকা বা আর্থিক মূল্য ছাড়াই ফ্ল্যাটটি আজমিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়। তখন আজমিনার বয়স ছিল ১৮ বছর এবং তিনি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা শুরু করতে চলেছিলেন।
টিউলিপ সিদ্দিক বেশকিছু অফিসিয়াল নথিতে হ্যাম্পস্টেডের ফ্ল্যাটটিকে তার বাসভবন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন। এমনকি ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ওয়ার্কিং মেনস কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর তিনি কোম্পানির নথিতে তার ঠিকানা হিসেবে ফ্ল্যাটটি তালিকাভুক্ত করেন।
তবে এ ব্যাপারে টিউলিপ সিদ্দিক মন্তব্য করতে রাজি হননি। কিন্তু তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে তিনি তার বোনের হ্যাম্পস্টেডের ফ্ল্যাটে কিছু সময়ের জন্য বসবাস করেছেন। সূত্রটি আরও দাবি করেছে, তার সঙ্গে হাসিনা সরকারের রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই এবং টিউলিপের সম্পত্তির সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়ানো সঠিক হবে না।
এর আগে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে টিউলিপের বিরুদ্ধে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ওই ব্যবসায়ীর।