ইউনাইটেড হেলথের সিইও খুনের ঘটনায় লুইজির বিরুদ্ধে ৪ মামলা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
২৬ বছর বয়সি লুইজি মাঞ্জিওনির বিরুদ্ধে ইউনাইটেড হেলথকেয়ারের সিইও ব্রায়ান থম্পসন হত্যার ঘটনায় চারটি ফেডারেল মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলা মৃত্যুদণ্ডযোগ্য।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) মাঞ্জিওনিকে পেনসিলভেনিয়া থেকে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে আসা হয়। তাকে কমলা রঙের পোশাক ও হাতকড়া পরিয়ে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে ঘিরে রাখেন। আদালতের ১৫ মিনিটের শুনানিতে বিচারক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো পড়েন।
অভিযোগের মধ্যে রয়েছে – আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে হত্যার অভিযোগ, গোপনে অনুসরণ করার দুটি অভিযোগ এবং অবৈধ গান সাইলেন্সার ব্যবহারের অভিযোগ। আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে হত্যার অভিযোগে মাঞ্জিওনির মৃত্যুদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেননি, ফলে আপাতত তাকে কারাগারেই রাখা হয়েছে।
আদালতে উপস্থিত সাংবাদিক, সাধারণ মানুষ ও আদালতের কর্মীরা অভিযোগ শুনতে থাকেন, আর আদালতের বাইরে কয়েকজন বিক্ষোভকারী "লুইজি আমাদের মুক্ত করেছে" লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে তার সমর্থনে অবস্থান নেন।
মাঞ্জিওনির একজন আইনজীবী বলেন, একজন আসামির বিরুদ্ধে একইসঙ্গে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের অভিযোগ থাকা সাধারণত দেখা যায় না। আমি ৩০ বছরের ক্যারিয়ারে এমন কিছু কখনো দেখিনি।
নিউ ইয়র্কে এই মামলার পর, মাঞ্জিওনিকে ব্রুকলিনের মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টারে আটক রাখা হয়েছে। এর আগে, পেনসিলভেনিয়া আদালতে মাঞ্জিওনির বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছিল। পেনসিলভেনিয়ায় তাকে অবৈধ অস্ত্র রাখা, জালিয়াতি এবং পুলিশকে মিথ্যা পরিচয় দেওয়ার অভিযোগে কারাগারে রাখা হয়েছিল।
মাঞ্জিওনির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগের বর্ণনায় বলা হয়েছে, তিনি জর্জিয়া থেকে নিউ ইয়র্কে এসেছিলেন ইউনাইটেড হেলথকেয়ারের সিইও ব্রায়ান থম্পসনকে অনুসরণ করে তাকে হত্যা করতে। থম্পসন ম্যানহাটনের হিলটন হোটেলে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তাকে পিঠে গুলি করে হত্যা করা হয়।
মাঞ্জিওনির গ্রেপ্তারের ঘটনাটি ঘটে গত ৯ ডিসেম্বর পেনসিলভেনিয়ার আলটোনায় একটি ম্যাকডোনাল্ডস থেকে, যেখানে এক গ্রাহক তাকে শনাক্ত করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। তার কাছ থেকে একটি ভুয়া আইডি কার্ড, বন্দুকের সাপ্রেসর এবং হত্যাকারীর মতো জামাকাপড় উদ্ধার করা হয়। এখনো মাঞ্জিওনি মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির মুখে রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে মামলা চলতে থাকবে।