বাশার আল আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় প্রবেশ করলো ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৮ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
সিরিয়ায় দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর গোলান মালভূমি থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে বেশ কিছু ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক। সিরিয়ার অভ্যন্তরে ট্যাঙ্ক প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। ৮ ডিসেম্বর রোববার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে- তারা আসাদ সরকারের পতনের পর গোলান মালভূমিতে ইসরায়েল ও সিরিয়ার মধ্যবর্তী বাফার জোনে নতুন অবস্থান গ্রহণ করেছে। এই সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, গোলান মালভূমির জনগোষ্ঠী এবং ইসরায়েলি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাফার জোনে এবং সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় বেশ কয়েকটি এলাকায় সেনা মোতায়েন করেছে আইডিএফ।"
আইডিএফ দাবি করেছে যে, সিরিয়া থেকে বন্দুকধারীদের বাফার জোনে প্রবেশের সম্ভাবনা থাকায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সামরিক বাহিনী জোর দিয়ে বলেছে, আইডিএফ সিরিয়ায় সংঘটিত ঘটনাগুলোতে হস্তক্ষেপ করে না।
ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে সিরিয়ার গোলান মালভূমির অধিকাংশ অংশ দখল করে। এরপর ১৯৮১ সালে সেটির পুরোটাই তারা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। ১৯৭৪ সালের পর এই প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি বাহিনী ইসরাইল এবং সিরিয়ার মধ্যবর্তী বাফার জোনে অবস্থান নিলো। আইডিএফ অতীতেও বেশ কয়েকবার সংক্ষিপ্তভাবে বাফার জোনে প্রবেশ করেছিল। তবে বর্তমানে সিরিয়ার পরিস্থিতি বেসামাল। আর তাই এই অবস্থায় ইসরায়েলের সামরিক কার্যক্রম সিরিয়ার অভ্যন্তরে দেখা গেলে ভবিষ্যতে সংঘাত আরো ছড়িয়ে পড়বে।
২০১১ সালে আরব বসন্তের জের ধরে সিরিয়ায় বিক্ষোভ শুরু হয়। ক্রমে তা রূপ নেয় গৃহযুদ্ধে। রাশিয়া আর ইরানের সমর্থনপুষ্ট বাশার আল আসাদ নিজের ক্ষমতা অনেকটাই সংহত করে রাখতে পেরেছিলেন। কিন্তু গেল সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া নতুন লড়াইয়ে একের পর এক বড় বড় শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে থাকে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী।
রোববার বিদ্রোহী দলগুলো টেলিগ্রাম বার্তায় জানায়, ‘বাথ শাসনের অধীনে ৫০ বছরের নিপীড়নের পর, এবং ১৩ বছরের অপরাধ ও অত্যাচার এবং বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য হওয়ার পর, আমরা আজ এই অন্ধকার সময়ের অবসান এবং সিরিয়ার জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা ঘোষণা করছি।’
দুই সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, বিদ্রোহীরা সরকারি বাহিনীর প্রতিরোধ ছাড়াই রাজধানীতে প্রবেশ করেছে। হাজার হাজার জনতা গাড়িতে এবং পায়ে হেঁটে দামেস্কের প্রধান চত্বরে জড়ো হয়ে স্বাধীনতার স্লোগান দিয়েছে।