Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশে আলু, পেঁয়াজ আসা বন্ধ করে দেয়া হবে : শুভেন্দু অধিকারী

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৩ এএম

বাংলাদেশে আলু, পেঁয়াজ আসা বন্ধ করে দেয়া হবে : শুভেন্দু অধিকারী

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বন্ধ এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি না দিলে সাময়িকভাবে পেট্রাপোল স্থলবন্দর বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন, যদি তাদের দাবি মেনে না নেওয়া হয়, তবে নতুন বছর থেকে স্থলবন্দর পুরোপুরি বন্ধ করে ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে যশোরের বেনাপোল বন্দরের ওপারে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার বৃহত্তম আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর পেট্রাপোলে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন রাজ্যের বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি বলেন, আজকে সিনেমার ট্রেলার দেখিয়ে গেলাম। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না হলে এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাস মুক্তি না পেলে পাঁচ দিন স্থলবন্দর বন্ধ থাকবে। তারপর ২০২৫ সালে লাগাতার বন্ধ করে দেওয়া হবে। আলু-পেঁয়াজ কী করে যায়, তা আমরা দেখব। আমাদের নাম ভারতবর্ষ।

শুভেন্দু অধিকারী যখন এই সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তার কিছুক্ষণ আগে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদ জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তাব, কেন্দ্র রাষ্ট্রপুঞ্জের (জাতিসংঘ) কাছে বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠানোর আরজি জানাক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, এই বিষয়ে একটি লিখিত প্রস্তাব তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে দেবেন।

শুভেন্দু অধিকারী মমতার ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, হিন্দুরা জোট বাঁধছে এবং সেই কারণে ভয় পাচ্ছেন (মমতা)। তিনি উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ করবেন তো? আপনারা লড়াই করবেন তো?” এই সমাবেশে তিনি হিন্দিতে স্লোগানও দেন।

পরে শুভেন্দু অধিকারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর মতো আধ্যাত্মিক নেতাদের গ্রেপ্তার, হিন্দুদের ওপরে লাগামহীন অত্যাচার এবং বাংলাদেশে ভারতীয় পতাকার অবমাননার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে হাজার হাজার ভিক্ষু, ইসকনের ভক্ত এবং সাধারণ সনাতনী মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। আমরা দাবি করছি, প্রতিবেশী দেশ এবং এটির অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই হিন্দুধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।

পূর্ব ভারতের বিভিন্ন স্থানে কয়েক দিন ধরে ছোট ছোট বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মিছিল চলার পর ত্রিপুরায় সহকারী হাইকমিশনে এ হামলা হয়। এর আগে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের সামনেও পরপর কয়েক দিন বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন