ফ্রান্সের নির্বাচনে উগ্রপন্থীদের উত্থান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ১২:৩১ পিএম
ফ্রান্সের নির্বাচনে উগ্রপন্থীদের উত্থান
ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফায় উগ্রপন্থীরা বিশালভাবে জয়ী হয়েছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর জোট ভোটে তৃতীয় নাম্বারে আছেন। আর এর ফলে ফ্রান্সে বসবাসকারী ইহুদিদের মধ্যে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। এই জোট ফ্রান্সে বিদেশিদের দেখতে চায় না। তারা চরম মুসলিম ও উহুদি বিরোধী। এখন ইহুদিরা দলে দলে ইসরাইলে চলে যেতে পারে বলে প্রখ্যাত এক বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফায় উগ্র ডানপন্থীরা বিশালভাবে জয়ী হয়েছে। আর এর ফলে ফ্রান্সে বসবাসকারী ইহুদিদের মধ্যে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। তারা
প্রাথমিক জরিপে দেখা যাচ্ছে, মারিন লে পেন-এর উগ্র ডানপন্থী ন্যাশনাল র্যালি (আরএন) পেয়েছে ৩৪.৫ শতাংশ ভোট। দ্বিতীয় স্থানে বামপন্থী নিউ পপুলার ফ্রন্ট অ্যালায়েন্স ২৮.৫ থেকে ২৯.১ শতাংশ। আর ম্যাক্রোঁর জোট ২০.৫ থেকে ২১.৫ শতাংশ।
জরিপ সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, আরএন ৫৭৭ আসনের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাবে। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডের পর তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২৮৯ আসন পাবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার না।
সংস্থাগুলোর হিসেবে ভিন্নতা আছে। ইপসস-এর প্রজেকশন অনুযায়ী আরএন পাবে ২৩০ থেকে ২৮০ আসন; ইফপ-এর হিসাব হচ্ছে ২০৪ থেকে ২৭০; এবং এলাব একমাত্র সংস্থা যারা এরএন-এর আসন সংখ্যা ২৬০ থেকে ৩১০-এর মধ্যে করেছে।
এই প্রেক্ষাপটে কোয়েলিটা অ্যাসোসিয়েশন ফর দি এবজরবেশন অ্যান্ড এনকারেজমেন্ট অব জিউশ ইমিগ্রেশন বা আলিয়াহর সিইও অ্যারিয়েল কান্ডেল টাইমস অব ইসরাইলকে বলেছেন, 'এখন প্রায় ৫০ হাজার ফরাসি ইহুদি ফ্রান্স ত্যাগের কথা ভাবছে।'
উল্লেখ্য, এনআরের সভাপতি জর্ডান বরদেল্লা এবং এর শীর্ষ আইনপ্রণেতা মারিন লে পেন ধর্মীয় উপাসনায় সরকারি অবস্থান সীমিত করতে চান। দলটির মুসলিমবিরোধী অ্যাজেন্ডার অংশ হিসেবেই তারা ইহুদিদেরও সংযত করতে চায়। তারা বিদেশে বসবাসকারী নাগরিকদের পেনসন সুবিধাও সীমিত করতে চায়।
এনআরের অনেক সমালোচক দলটিকে অ্যান্টিসেমিটিক হিসেবে অভিহিত করেছে। তবে অনেক এই অভিমতের সাথে একমত নয়।
কান্ডেল বলেন, যদি জ্যাঁ-লাক মেলেনচোনের নেতৃত্বে উগ্র বামরা ক্ষমতায় আসে, তবে ইহুদিদের ফ্রান্স ত্যাগের আরো প্রবল তাগিদ সৃষ্টি হবে। কারণ অনেক ইহুদিই মেলেনচোনকে অ্যান্টিসেমিটিক বিবেচনা করে।
উল্লেখ্য, যখন ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ তৃতীয় বছরে গড়িয়েছে এবং জ্বালানি আর খাদ্য মূল্য অনেক উঁচুতে, তখন অভিবাসন-বিরোধী আরএন পার্টি এগিয়ে গেছে।
দুই রাউন্ডের ভোট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফ্রান্সে প্রথমবার উগ্র ডানপন্থীদের ক্ষমতায় আনতে পারে এবং দলের নেতা লে পনের শিষ্য ২৮-বছর বয়স্ক জর্ডান বরদেল্লাকে সরকার গঠনের সুযোগ দিতে পারে। সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল, ভয়েস অব আমেরিকা এবং অন্যান্য