নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির তীব্র সমালোচনা বাইডেনের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ‘অসঙ্গত’ ও ‘নজিরবিহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার নিন্দা জানিয়ে এ মন্তব্য করেন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
জো বাইডেন বলেছেন, ‘আইসিসি যা-ই বলুক, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে কোনো তুলনা হয় না। আমরা সবসময় ইসরাইলের পাশে থাকব এবং দেশটির নিরাপত্তার প্রতি হুমকির বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান নেব। আইসিসি নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পরোয়ানা জারি করেছে। তবে এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজ আরও একটি বিবৃতিতে জানায়, তারা এসব অভিযোগকে ‘মূলগতভাবে প্রত্যাখ্যান’ করছে।
হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র বলেন, আমরা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জন্য প্রসিকিউটরের তাড়াহুড়ো ও প্রক্রিয়াগত ত্রুটিতে গভীর উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করেছে যে, এই বিষয়ে আইসিসির কোনও এখতিয়ার নেই। তবে ওই বিবৃতিতে হামাসের সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে আইসিসির জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
এদিকে, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের আসন্ন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, আইসিসির পক্ষপাতিত্ব ও জাতিসংঘের বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে জানুয়ারিতে কঠিন প্রতিক্রিয়া দেয়া হবে। তিনি আরো দাবি করেন, আইসিসির কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকার এসব অভিযোগ নাকচ করেছে। ওয়াল্টজের মন্তব্য রিপাবলিকানদের মধ্যে আইসিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ আরও বাড়িয়েছে। কয়েকজন সিনেটর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।
আইসিসি বৃহস্পতিবার জানায়, ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ২০ মে পর্যন্ত সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এছাড়া, দেইফের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তবে ইসরাইল দাবি করেছিল, জুলাই মাসে গাজার একটি বিমান হামলায় দেইফ নিহত হয়েছেন। যদিও হামাস এখনো তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল- উভয়েই আইসিসির সদস্য নয় এবং তারা এই আদালতের এখতিয়ার স্বীকার করে না।