প্রবল বৃষ্টির মধ্যে দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনালের ছাদ ধসে মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:২৭ পিএম
দিল্লি বিমানবন্দরে এক নম্বর টার্মিনালের ছাদ ভেঙে একজন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ছয়জন। ছবি : সংগৃহীত
প্রবল বৃষ্টির মধ্যে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টার্মিনালের ছাদ ধসে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৬ জন। ভেঙে পড়া ছাদের নিচে এখনও অনেকেই আটকে আছেন। ফলে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
শুক্রবার (২৮ জুন) ভোরের দিকে বিমানবন্দরের এক নম্বর টার্মিনালের ছাদের কিছু অংশ ভেঙে কয়েকটি গাড়ির ওপর পড়ে। এর ফলে অনেকগুলো গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক নম্বর টার্মিনাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
দিল্লির ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, তারা সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ছাদ ভেঙে পড়ার খবর পান।
বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রুফ শিট ও থাম ভেঙে পড়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। যে জায়গায় গাড়ি এসে যাত্রীদের নামায় এবং যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়, সেখানেই এই ঘটনা ঘটেছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতিতে বলেছে, “দিল্লি বিমানবন্দরের এক নম্বর টার্মিনালের যেখান দিয়ে যাত্রীরা বিমানবন্দর থেকে বের হন, সেই পুরনো ফোরকোর্টের ছাদ ভেঙে পড়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে দিল্লিতে প্রচণ্ড বৃষ্টি হওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে জড়িত কর্মীরা সেখানে কাজ করছেন এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন। এই দুর্ঘটনার পর এক নম্বর টার্মিনাল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চেক-ইন কাউন্টারও বন্ধ রাখা হয়েছে। এজন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।”
এই টার্মিনাল থেকে ইন্ডিগো ও স্পাইসজেটের বিমান ওঠানামা করে। বেলা ২টা পর্যন্ত এই টার্মিনাল থেকে বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু কিনজারাপু জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে দুর্ঘটনার বিষয়টিতে নজর রাখছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাত আড়াইটা থেকে ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দিল্লিতে ১৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
দিল্লি বিমানবন্দরের এই ছাদ ভেঙে পড়ার পর কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতারা অভিযোগ করেছেন, ভোটের আগে তাড়াহুড়ো করে কাজ শেষ হওয়ার আগেই এর উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আর এজন্যই এই ঘটনা ঘটল। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা, তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলে এই অভিযোগ করেছেন।
বিজেপি সূত্রের দাবি, ২০০৯ সালে এই ভেঙে পড়া অংশের নির্মাণ হয়েছিল। সে সময় ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় ছিল।