বিজেপির ইশতেহারে প্রথম দফাতেই ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ প্রসঙ্গ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ পিএম
অমিত শাহ
কদিন পরেই ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের ইশতেহার প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে বিজেপি ২৫ দফার একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। বিজেপির ইশতেহারে প্রথমেই বলা হয়েছে, তারা বাংলাদেশ থেকে ঝাড়খণ্ডে আগত ‘অনুপ্রবেশকারীদের’ তাড়িয়ে দেবে।
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপি বারবার বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশের বিষয়টিকে তুলে ধরছে। দলের নেতা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রোববার ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ইশতেহার প্রকাশ করেন এবং এসময় তিনি এই বিষয়টি নিয়ে তার অবস্থান স্পষ্ট করেন।
বিজেপির ইশতেহারে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, তারা ঝাড়খণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করবে, তবে আদিবাসী পরিচয় পুরোপুরি রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অমিত শাহ দাবি করেছেন, বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের কারণে একদিন স্থানীয় জনসংখ্যা সংখ্যালঘু হয়ে যাবে।
এই ধরনের মন্তব্যের বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোর মাধ্যমে ঘটে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি জানতে চাই, বিজেপির কি বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো অভ্যন্তরীণ সমঝোতা আছে? তিনি কেন্দ্র সরকারের কাছে প্রশ্ন ছুড়েছেন, কিসের ভিত্তিতে বাংলাদেশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেয়ার অনুমতি দেয়া হলো?
হেমন্ত সরেনের বক্তব্য, অনুপ্রবেশকারীরা বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোর মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করে। তারাই এ বিষয়টি বলছে।
এ সময় অমিত শাহ অভিযোগ করেন যে, ঝাড়খণ্ড রাজ্য সরকার ‘অনুপ্রবেশকারীদের’ আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করেছে। তিনি দাবি করেন, বিজেপি ‘তোষণের রাজনীতির’ অবসান ঘটিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়িত করবে এবং ঝাড়খণ্ডকে পুনর্গঠন করবে।