Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

শ্রীলংকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা

Icon

অনলাইন ডেস্ক :

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:২৮ পিএম

শ্রীলংকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা

ছবি : সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’–র প্রভাবে টানা ভারি বর্ষণ ও ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত শ্রীলংকা। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩২–এ, আর নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৭৬ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়েকে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহের অবিরাম বৃষ্টিতে পুরো দেশজুড়ে ঘরবাড়ি ভেসে গেছে, সড়ক– সেতু ভেঙে পড়েছে এবং বহু এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) জানিয়েছে, ১৫ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর বিধ্বস্ত এবং কমপক্ষে ৭৮ হাজার মানুষকে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বন্যা–বিধ্বস্ত বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। শুধু অনুরাধাপুরা জেলাতেই টানা ২৪ ঘণ্টায় হেলিকপ্টার ও নৌকা ব্যবহার করে এক জার্মান পর্যটকসহ ৬৯ জন বাসযাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

ডিএমসির মহাপরিচালক সম্পাথ কোটুউইগোদা বলেছে, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে মোতায়েন করায় উদ্ধার তৎপরতা জোরদার হয়েছে। শনিবার দেশটির সামরিক বাহিনী অনুরাধাপুরা জেলায় টানা ২৪ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে এক জার্মান পর্যটকসহ ৬৯ জন বাসযাত্রীকে উদ্ধার করেছে। এই অভিযানে হেলিকপ্টার ও নৌবাহিনীর নৌকা ব্যবহার করা হয়।

বাসের এক যাত্রী স্থানীয় হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, নৌবাহিনীর সদস্যরা রশি ব্যবহার করে বন্যার পানি পেরোতে সহায়তা করেছেন। পরে কাছের একটি বাড়ির ছাদে উঠতে সাহায্য করেন তারা।

দেশটির মধ্যাঞ্চলের বদুল্লা জেলার বিভিন্ন সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যে কারণে সেখানকার অনেক গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানো যাচ্ছে না।

বদুল্লার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা মাসপান্না গ্রামের সামান কুমারা বলেন, আমাদের গ্রামে দু’জন মারা গেছেন। অন্যরা একটি মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে বাড়িতে অবস্থান করছেন। আমরা গ্রাম থেকে বের হতে পারছি না,  আর কেউ ঢুকতেও পারছে না। কারণ সব রাস্তা ধসেপড়া মাটিতে বন্ধ হয়ে গেছে। খাবার নেই এবং পরিষ্কার পানিরও ঘাটতি আছে।

কর্তৃপক্ষ বলেছে, দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে। বন্যায় বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে এবং পানি পরিশোধন কেন্দ্রগুলো ডুবে গেছে। অনেক এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

শনিবার ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’ দ্বীপদেশটির কাছ থেকে সরে গিয়ে উত্তরে ভারতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ভারতের চেন্নাই বিমানবন্দর ঝড়ের প্রভাবে ৫৪টি ফ্লাইট বাতিল করেছে। দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় প্রবল বর্ষণ ও তীব্র বাতাস বয়ে যেতে পারে।

মধ্যাঞ্চলের ক্যান্ডি জেলায় নতুন করে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানী কলম্বো থেকে ১১৫ কিলোমিটার পূর্বের এই জেলার প্রধান সড়কের বিশাল অংশ পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

দেশটির সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য আনুষ্ঠানিক আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি বিদেশে অবস্থান করা শ্রীলংনদের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য নগদ অর্থ পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে সরকার।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন