চীনের প্রভাব কমাতে বিরল মৃত্তিকা খনিজে যুক্তরাষ্ট্র-মালয়েশিয়া বাণিজ্য চুক্তি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২১ এএম
চীনের কড়া নিয়ন্ত্রণকে পাশ কাটিয়ে বিরল মৃত্তিকা খনিজে প্রবেশাধিকার বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়া নতুন এক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এ চুক্তিতে সই করেন।
চীন সম্প্রতি বিরল মৃত্তিকা শিল্পে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করায়, ট্রাম্প প্রশাসন পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় চীনা পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দেয়। ট্রাম্প বর্তমানে আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে কুয়ালালামপুরে অবস্থান করছেন, যেখানে তার চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক নির্ধারিত আছে বৃহস্পতিবার।
নতুন চুক্তির আওতায়, মালয়েশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রপ্তানিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা বা কোটা আরোপ না করার অঙ্গীকার করেছে। এর বিনিময়ে ওয়াশিংটন মালয়েশিয়ার পণ্যের ওপর ১৯ শতাংশ শুল্ক আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর করতে সম্মত হয়েছে।
হোয়াইট হাউস এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, মালয়েশিয়া মার্কিন কোম্পানিগুলোর কাছে বিরল মৃত্তিকা ম্যাগনেট বিক্রিতে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করবে না। এছাড়া দেশটি মার্কিন সংস্থাগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে খনিজ খাতের উন্নয়ন, উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও লাইসেন্স নবায়নের প্রক্রিয়া সহজ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।
মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার বলেন, এই চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ খনিজে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যকে আরও মুক্ত এবং স্থিতিশীল করে তুলবে। আমরা এমন এক বিশ্বে বাস করছি, যেখানে এই খনিজগুলো প্রযুক্তি, উৎপাদন ও অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরবরাহ শৃঙ্খলকে মসৃণ রাখতে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা অপরিহার্য।
২০২৩ সালে মালয়েশিয়া ঘোষণা করেছিল, তাদের দেশে প্রায় ১ কোটি ৬২ লাখ টন অব্যবহৃত বিরল মৃত্তিকা মজুত রয়েছে। দেশটি অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াকরণ বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কাঁচা খনিজ রপ্তানিতে দেশব্যাপী স্থগিতাদেশ কার্যকর করে।
চীন অতীতে এই খাতে প্রভাব বিস্তার করে আসছে। ২০১০ সালে জাপানের সঙ্গে বিরোধের জেরে চীন যখন বিরল মৃত্তিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়, তখন জাপান মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। পরবর্তীতে টোকিও সরবরাহ বৈচিত্র্য নিশ্চিত করতে অস্ট্রেলীয় প্রতিষ্ঠান লিনাসের সঙ্গে চুক্তি করে এবং মালয়েশিয়ায় উৎপাদন সম্প্রসারণে মনোযোগ দেয়। সূত্র: এএফপি।



