ট্রাম্পের নতুন নিষেধাজ্ঞায় ক্ষুব্ধ পুতিন, বললেন চাপের মুখে রাশিয়া মাথা নত করবে না
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২০ এএম
ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে রাশিয়া। তবে এসব চাপের মধ্যেও অবস্থান থেকে একচুল নড়েননি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার দুটি বৃহত্তম তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। ঘোষণার পরপরই বিশ্ববাজারে তেলের দাম প্রায় পাঁচ শতাংশ বেড়ে যায় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
পুতিন এই পদক্ষেপকে অমিত্রসুলভ বলে অভিহিত করে বলেন, নিষেধাজ্ঞায় রুশ অর্থনীতিতে তেমন প্রভাব পড়বে না। বরং এতে তেলের সরবরাহ হ্রাস পেলে বৈশ্বিক বাজারে দাম আরও লাফিয়ে বাড়বে বলে সতর্ক করেন তিনি। এটি নিঃসন্দেহে রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা, বলেন পুতিন। কিন্তু আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন কোনো রাষ্ট্র বা জনগণ কখনও চাপের মুখে মাথা নত করে না।
পুতিনের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তিনি যদি এমনটা মনে করেন, ভালোই! ছয় মাস পর ফলাফলটা দেখা যাবে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে রাশিয়ার তেল জায়ান্ট রসনেফট ও লুকঅয়েল—যারা একসঙ্গে বিশ্বের মোট তেল উৎপাদনের পাঁচ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করে। বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। কারণ মাত্র এক সপ্তাহ আগেই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে বুদাপেস্টে পুতিনের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠকে বসবেন।
রয়টার্স জানায়, নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর চীনের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানিগুলো রাশিয়া থেকে তেল আমদানি স্থগিত করেছে। অন্যদিকে, রুশ তেলের অন্যতম বড় ক্রেতা ভারতও আমদানি কমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
স্বল্পমেয়াদে রুশ অর্থনীতিতে নিষেধাজ্ঞার প্রভাব সীমিত হলেও, এটি ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়—যার উদ্দেশ্য ক্রেমলিনের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়িয়ে আলোচনার টেবিলে টেনে আনা।
এদিকে, ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় মিত্রদের কাছে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সহায়তা চেয়েছে। এই প্রসঙ্গে পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালানো হলে মস্কোর প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত কঠোর— এমনকি ধ্বংসাত্মকও হতে পারে।



