চীনের প্রভাব বাড়ছে সৌদির প্রতিরক্ষা খাতে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০৮ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
সৌদি আরব ও চীন যৌথভাবে শুরু করেছে তৃতীয় দ্বিপাক্ষিক নৌ মহড়া ‘ব্লু সোর্ড ২০২৫’। এটি কেবল সামরিক সহযোগিতার নতুন অধ্যায় নয়, বরং চীনের ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা প্রভাবেরও প্রতিফলন। বিশেষ করে রিয়াদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে।
রিয়াদের পূর্ব উপকূলে কিং আবদুল আজিজ নৌঘাঁটিতে শুরু হওয়া মহড়ায় দুই দেশের নৌবাহিনী অংশ নিচ্ছে। সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই মহড়ার উদ্দেশ্য হলো 'অভিজ্ঞতা বিনিময় ও অংশগ্রহণকারীদের যুদ্ধ-প্রস্তুতি বাড়ানো'।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল জিয়াং বিন বলেন, এই মহড়া দুই দেশের সেনাদের মধ্যে দক্ষতা ও কৌশল বিনিময়কে উৎসাহিত করবে এবং সামরিক বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করবে।
২০১৯ সালে প্রথম ‘ব্লু সোর্ড’ মহড়া অনুষ্ঠিত হয় চীনের গুয়াংডং প্রদেশে, যেখানে সন্ত্রাসবিরোধী ও জলদস্যু দমন অনুশীলন হয়। ২০২৩ সালে ঝানজিয়াংয়ে দ্বিতীয় মহড়ায় বিশেষ অভিযান, উদ্ধার ও সমুদ্রবোর্ডিং প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত হয়। এ বছর যুক্ত হয়েছে ট্যাকটিক্যাল ড্রোন ও সামুদ্রিক মাইন নিষ্ক্রিয়করণের অনুশীলন।
গত জুনে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান বেইজিং সফরে চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী দং জুন ও সামরিক কমিশনের উপ-চেয়ারম্যান ঝাং ইউসিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন। দুই দেশ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিপ্রি)-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চীন থেকে সৌদি আরবের অস্ত্র আমদানির পরিমাণ ছিল ২৪৫ মিলিয়ন ডলার, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি ছিল ১৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ২০১৮-২০২২ সময়ে সৌদির অস্ত্র আমদানির ৭৮ শতাংশই আসে মার্কিন উৎস থেকে।
২০২১ সালে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, চীনের সহায়তায় সৌদি আরব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। যা দুই দেশের সহযোগিতার গভীরতা নির্দেশ করে।
সৌদি আরব এখনও যুক্তরাষ্ট্রকেই প্রধান নিরাপত্তা অংশীদার হিসেবে রাখছে। তবে চীনকে উপেক্ষা করছে না। মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক নিরাপত্তা অস্থিরতা, বিশেষত দোহা হামলার পর, রিয়াদের জন্য এটি স্পষ্ট হয়েছে যে একক নিরাপত্তা নির্ভরতা ঝুঁকিপূর্ণ।
সূত্র: আল মনিটর



