ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল ইরান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩০ এএম
ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো পরিস্থিতিতেই সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। শনিবার (১১ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ইরান কখনও এমন একটি দখলদার রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে না, যারা শিশু হত্যা ও গণহত্যার মতো অপরাধে জড়িত।”
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে নতুন ইতিহাস তৈরি হতে যাচ্ছে। ইরানও এই বৃহত্তর শান্তি কাঠামোর অংশ হবে।” তিনি ইঙ্গিত দেন, ইসরায়েল-ইরান বৈরিতা কাটিয়ে দুই দেশ আলোচনায় বসতে পারে।
তবে ট্রাম্পের এই পরিকল্পনাকে “অবাস্তব” বলে প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইসরায়েলের অবস্থান নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আরাঘচি।
এদিকে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি এক যৌথ বিবৃতিতে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু চুক্তি পুনরায় আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা এমন একটি সমঝোতা চায় যা স্থায়ী, যাচাইযোগ্য এবং ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের সম্ভাবনা সম্পূর্ণরূপে রুদ্ধ করবে।
তবে ইরান সরাসরি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরাঘচি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র যদি ন্যায্য, সুষম ও যুক্তিসঙ্গত পরমাণু চুক্তির প্রস্তাব দেয়, তাহলে ইরানও সম্মতি জানাতে প্রস্তুত।”
তিনি আরও বলেন, “ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা ইরানের জনগণের অধিকার এবং তা কেবল শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রকে আমাদের অধিকারকে সম্মান করতে হবে।”
এদিকে ইরানের জ্বালানি রপ্তানি নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পেট্রোলিয়াম ও তরলীকৃত গ্যাস রপ্তানিতে সহায়তার অভিযোগে ৫০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও জাহাজকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দাবি, তেহরান যে তহবিল ব্যবহার করে ক্ষতিকর কার্যকলাপ পরিচালনা করে, তা বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।



