গাজার পথে ফ্রিডম ফ্লোটিলার খাদ্য ও ত্রাণবাহী আরও ৯ নৌযান ভূমধ্যসাগরে অগ্রসর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০১ এএম
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য ও ত্রাণ নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছে ফিলিস্তিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর জোট ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (এফএফসি) নতুন নৌবহর। বর্তমানে এই নৌবহরটি গাজার উপকূল থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
গতকাল মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে এফএফসি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের ফ্লোটিলা বর্তমানে গাজার উপকূল থেকে ১৫০ নটিক্যাল মাইল (প্রায় ২৭৭ কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করছে। কিছুদিন আগে আমাদের ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ মিশনের নৌযানগুলো যেখান থেকে ইসরায়েলি নৌবাহিনী আটক করেছিল, নতুন বহরটি এখন সেই এলাকার কাছাকাছি।
এফএফসি-র সদস্য সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কমিটি ফর ব্রেকিং দ্য সিজ অন গাজা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে জানায়, আমরা গাজার পথে অগ্রসর হচ্ছি।
জানা গেছে, নতুন এই বহরে রয়েছে খাদ্য, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী ৯টি নৌযান, যেখানে ক্রুসহ রয়েছেন ১০০ জনেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী।
এর আগে গত আগস্টে এফএফসি গাজায় ৪৩টি নৌযান পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিল, যার নাম দেওয়া হয়‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’। সেই মিশনে অংশ নেন ৪৪টি দেশের ৫০০ জন নাগরিক, যাঁদের মধ্যে ছিলেন সুইডিশ পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি মান্ডলা ম্যান্ডেলা।
‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করলেও গাজার উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছালে ইসরায়েলি নৌবাহিনী নৌযানগুলো আটক করে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন এখনো ইসরায়েলে বন্দি আছেন, আর বাকিদের—including গ্রেটা থুনবার্গ—গ্রিসে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ওই অভিযাত্রীদের আটক ও নৌবহর জব্দের ঘটনায় ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৮ বছর ধরে গাজার সমুদ্র উপকূলে ইসরায়েলের অবরোধ চলছে। গাজায় কোনো কার্যকর সমুদ্রবন্দর নেই, ফলে আন্তর্জাতিক কোনো নৌযান সেখানে পৌঁছাতে পারে না। নতুন ফ্লোটিলা বহরটি যদি গাজার উপকূলে পৌঁছাতে সক্ষম হয়, তবে এটি হবে অবরোধ শুরুর পর প্রথম আন্তর্জাতিক নৌবহরের আগমন।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি



