ফ্লোটিলার আটক মানবাধিকার কর্মীদের ইউরোপে পাঠাবে ইসরায়েল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:০২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা বৈশ্বিক ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র অধিকাংশ জাহাজ আটক করেছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, আটক মানবাধিকার কর্মীদের ইউরোপে ফেরত পাঠানো হবে।
গত মাসে স্পেন থেকে যাত্রা শুরু করা এই নৌবহরে প্রায় ৪৫টি জাহাজ রয়েছে, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফিলিস্তিনপন্থী রাজনীতিবিদ, মানবাধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিকরা অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও।
নৌবহরের মূল লক্ষ্য ছিল গাজার ওপর ইসরায়েলের আরোপিত নৌ-অবরোধ ভেঙে ত্রাণ পৌঁছানো। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় চলমান যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে।
বুধবার থেকে ইসরায়েলি নৌবাহিনী ফ্লোটিলার জাহাজগুলো আটক করতে শুরু করে। রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৯টি জাহাজ আটক করা হয়েছে, যার মধ্যে থুনবার্গের জাহাজও রয়েছে। ফ্লোটিলার ট্র্যাকিং সিস্টেমের তথ্য অনুযায়ী, ৪৫টি জাহাজের মধ্যে ৩০টিরও বেশি আটক হয়েছে বা আটক করার চেষ্টা চলছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া বিবৃতিতে জানিয়েছে, “হামাস-সুমুদ জাহাজের যাত্রীদের নিরাপদে ইসরায়েলে আনা হয়েছে এবং তাদের ইউরোপে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তারা সুস্থ ও নিরাপদ আছেন।” একই সঙ্গে থুনবার্গের জিনিসপত্র গুছিয়ে নেওয়ার ফুটেজও প্রকাশ করেছে ইসরায়েল।
ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবু কেশেক জানিয়েছেন, যেসব জাহাজ এখনও আটক হয়নি, সেগুলো যাত্রা অব্যাহত রাখবে। আয়োজকরা নৌযান আটকের ঘটনাকে “অবৈধ” বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন, আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলি বাহিনীর এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। নৌযান আটক করার পর কয়েকটি জাহাজের লাইভ সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গেছে এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।



