মালদ্বীপে কর্মরতদের উদ্দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের সতর্কবার্তা
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
মালদ্বীপে কর্মরত প্রবাসী কর্মীদের দেশটির সরকারের জারি করা নিদের্শনা গুরুত্ব সহকারে পালনের পরামর্শ দিয়েছে মালদ্বীপে বাংলাদেশ দূতাবাস।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) মালদ্বীপের বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশের দূতাবাস জানায়, মালদ্বীপ সরকার প্রবাসী কর্মীদের জন্য নির্দেশনা ও নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী কোনো প্রবাসী কর্মী যদি মালদ্বীপে অবৈধভাবে কাজ করেন, তবে দেশের আইন অনুযায়ী তাকে ১০ বছরের জন্য বিতাড়িত (ডিপোর্ট) করা হবে। এ সংক্রান্ত কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন।
এছাড়া, মালদ্বীপে ‘ফ্রি ভিসা’ নামে কোনো ব্যবস্থা নেই। নির্দিষ্ট কোম্পানির নামে ভিসা গ্রহণকারী কর্মীকে সেই কোম্পানির অধীনেই কাজ করতে হবে। অন্যত্র কাজ করা বা ‘ফ্রি ভিসায়’ কাজ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং এ ক্ষেত্রে কর্মীকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য ডিপোর্ট করা হতে পারে।
কোনো প্রবাসী কর্মীকে ব্যবসা-বাণিজ্য, আর্থিক লেনদেন বা এ-সংক্রান্ত কার্যক্রমে জড়িত হওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ধরনের অপরাধে জড়িত হলে আইনগত শাস্তির পাশাপাশি ডিপোর্টের সম্মুখীন হতে হবে।
দূতাবাস জানায়, মালদ্বীপে কর্মসংস্থানের জন্য বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয় ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৮০ টাকা। ওয়ার্ক ভিসায় মালদ্বীপে আসতে ইচ্ছুক প্রত্যেককে এ ব্যয়ের অতিরিক্ত কোনো অর্থ প্রদান না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে। মালদ্বীপে মানবপাচার একটি গুরুতর অপরাধ। এ অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বনিম্ন ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
এ ছাড়া, ভ্রমণ ভিসায় আগত কোনো ভ্রমণকারী নির্ধারিত ভিসার মেয়াদের অতিরিক্ত সময় মালদ্বীপে অবস্থান করলে তা আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ ধরণের অপরাধের ক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানা এবং কারাদণ্ডের বিধান প্রযোজ্য। ভ্রমণ ভিসায় অবস্থানকালে চাকরি, ব্যবসা বা ব্যবসা সংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং এটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
তবে বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ বহনের ক্ষেত্রে অবশ্যই নিবন্ধিত চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন সঙ্গে আনতে হবে। প্রেসক্রিপশন ব্যতীত ঔষধ বহনের ফলে আর্থিক জরিমানাসহ অন্যান্য আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে আগমনের সময় রান্না করা খাবার বহন করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। বাংলাদেশ থেকে বিক্রির উদ্দেশ্যে গার্মেন্টস, পলিব্যাগ বা এ ধরনের অন্য কোনো সামগ্রী বহন করা নিষিদ্ধ এবং আইনত দণ্ডনীয়।



