গাজায় যুদ্ধ নয় বরং ইসরায়েলের গণহত্যা চলছে: জাতিসংঘে এরদোয়ান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩৯ এএম
ছবি : সংগৃহীত
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া এক আবেগঘন ভাষণে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান গাজায় চলমান পরিস্থিতিকে যুদ্ধ নয়, বরং ইসরায়েলের গণহত্যা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে তিনি বিশ্ব নেতাদের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
এরদোয়ান বলেন, “আমাদের চোখের সামনে ৭০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে গাজায় গণহত্যা চলছে। গত ২৩ মাসে প্রতি ঘণ্টায় একটি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এগুলো শুধু সংখ্যা নয়, প্রতিটি একটি জীবন, একজন নির্দোষ মানুষ।”
তিনি আরও বলেন, “আধুনিক ইতিহাসে এমন মানবিক বিপর্যয় আর ঘটেনি। দুই-তিন বছরের শিশুদের অজ্ঞান করার ওষুধ ছাড়াই অঙ্গচ্ছেদ করতে হচ্ছে। এটি মানবতার সর্বনিম্ন পর্যায়। গাজায় কোনো যুদ্ধ নেই, এটি একতরফা আগ্রাসন ও গণহত্যা।”
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে এরদোয়ান বলেন, “ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস নিউইয়র্কে উপস্থিত না থাকলেও তুরস্ক ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষ থেকে কথা বলছে, যাদের কণ্ঠ রুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, বাধাহীন মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং ইসরায়েলের গণহত্যাকারী চক্রকে জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানান। এরদোয়ান অভিযোগ করেন, ইসরায়েলের আগ্রাসন শুধু গাজা বা পশ্চিম তীরেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সিরিয়া, ইরান, ইয়েমেন, লেবানন ও কাতারেও ছড়িয়ে পড়েছে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।
বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “মানবতার খাতিরে আজ অত্যাচারিত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে হবে। ইসরায়েলি হামলা নারীর অধিকার, শিশুর অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সমতা ও ন্যায়বিচারসহ মৌলিক মানবাধিকারগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।”
এরদোয়ান প্রশ্ন রাখেন, “যখন শিশুরা ক্ষুধা ও ওষুধের অভাবে মারা যায়, তখন কি সেই বিশ্বে শান্তি থাকতে পারে? গত শতকে মানবতা এমন নৃশংসতা দেখেনি।”
তার এই বক্তব্য বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আহ্বান হিসেবে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।



