চলতি সপ্তাহেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে ব্রিটেন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৫৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
চলতি সপ্তাহের শেষেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য, এমনটাই দাবি করেছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুইদিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে ব্রিটিশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দিতে পারে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার গত জুলাইয়ে সতর্ক করে বলেছিলেন, ইসরাইল যদি গাজার মানবিক সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয় এবং যুদ্ধবিরতিতে না পৌঁছায়, তাহলে যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।
দ্য টাইমস জানিয়েছে, ট্রাম্প বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সফর শেষ করবেন, এরপরই ব্রিটেনের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতির ঘোষণা আসতে পারে। যদিও ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি, বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এদিকে ফ্রান্স, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনে এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।
গাজার পরিস্থিতিকে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। তিনি বলেন, “গাজায় যা ঘটছে, তা আমাদের চোখের সামনেই ঘটে চলা গণহত্যা।” তিনি লেবার পার্টির শীর্ষস্থানীয় নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের অবস্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সফরকালীন এক অনুষ্ঠানে সাদিক খান বলেন, “শিশুদের ক্ষুধার্ত মুখ, ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, ত্রাণের অভাব, মানুষের তৈরি দুর্ভিক্ষ—সব মিলিয়ে গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যারই প্রতিচ্ছবি।”
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনকে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছেন মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সও। তিনি বলেন, “গাজায় ইসরাইলের হামলা গণহত্যার শামিল” এবং যুক্তরাষ্ট্রকে এই হত্যাযজ্ঞ থেকে নিজেকে দূরে রাখার আহ্বান জানান।
এই পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতির বিষয়টি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে, বিশেষ করে গাজা সংকটকে কেন্দ্র করে ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক জনমতের প্রেক্ষাপটে।



