২৩ দেশকে মাদক উৎপাদক ও পাচারকারী বললেন ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:২১ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই-এর বরাতে সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, গত সোমবার মার্কিন কংগ্রেসে জমা দেওয়া ‘প্রেসিডেন্সিয়াল ডিটারমিনেশন’-এ ট্রাম্প এই তালিকা প্রকাশ করেন।
তালিকাভুক্ত দেশগুলো হলো: আফগানিস্তান, বাহামা, বেলিজ, বলিভিয়া, মিয়ানমার, চীন, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, ডোমিনিকান রিপাবলিক, ইকুয়েডর, এল সালভাদর, গুয়াতেমালা, হাইতি, হন্ডুরাস, ভারত, জ্যামাইকা, লাওস, মেক্সিকো, নিকারাগুয়া, পাকিস্তান, পানামা, পেরু ও ভেনেজুয়েলা।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই ‘মেজরস লিস্ট’ কংগ্রেসে জমা দিয়ে ট্রাম্প এসব দেশকে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ মাদক সরবরাহ ও পাচারের জন্য দায়ী করেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তালিকাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান, বলিভিয়া, মিয়ানমার, কলম্বিয়া ও ভেনেজুয়েলা মাদকবিরোধী কার্যক্রমে গুরুতর ব্যর্থতা দেখিয়েছে। তাদেরকে এই বিষয়ে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, তালিকাভুক্ত হওয়া মানে এই নয় যে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো মাদকবিরোধী কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে না। এটি ভৌগোলিক, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতার ওপর নির্ভর করে, যা অনেক সময় শক্তিশালী আইন প্রয়োগের পরও মাদক নিয়ন্ত্রণ কঠিন করে তোলে।
চীন প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, দেশটি “বিশ্বের সবচেয়ে বড় কাঁচামাল সরবরাহকারী”, যা অবৈধ ফেন্টানিল উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। তিনি বেইজিংকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান, বিশেষ করে মাদকের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করার বিষয়ে।
আফগানিস্তান প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, তালেবান নিষেধাজ্ঞা দিলেও দেশটিতে মেথঅ্যামফেটামিনসহ মাদকের উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক অপরাধচক্র ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ফেন্টানিলসহ প্রাণঘাতী মাদক আমদানির কারণে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় জরুরি পরিস্থিতির মুখোমুখি, এবং এটি ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সী আমেরিকানদের মৃত্যুর প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে।
এই ঘোষণার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের মাদকবিরোধী অবস্থান আরও জোরালোভাবে তুলে ধরেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যা আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।



