সাবেক প্রধান বিচারপতি নেপালের দায়িত্ব নিতে পারেন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২৮ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
সহিংস বিক্ষোভের মধ্যে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা পদত্যাগ করার পর দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আলোচনা চলছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি।
নেপালে রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন দেশটির সেনা প্রধান। গত ২৪ ঘণ্টা ধরে নেপালে কার্যত কোনো সরকার নেই।
আন্দোলনকারী জেন জি গ্রুপের নেতাদের ভাষ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বের জন্য ব্যক্তির নাম চূড়ান্ত করতে জেন জি গ্রুপ বর্তমানে জুমে বৈঠক করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হওয়ার জন্য আলোচনায় আছে তিনজনের নাম। এর মধ্যে সুশীলা কার্কি সম্মতি দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
কে এই সুশীলা কার্কি
সুশীলা কার্কি ছিলেন নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি। তিনি জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০১৭ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্বকালীন তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছিলেন।
সাত ভাইবোনের মধ্যে তিনি বড়। কৃষক পরিবার থেকে আসলেও তাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিপি কৈরালার পরিবারের সঙ্গে (যিনি ১৯৫৯ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন)।
কার্কি ১৯৭২ সালে মহেন্দ্র মরাং ক্যাম্পাস থেকে বিএ ডিগ্রি, ১৯৭৫ সালে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ, এবং ১৯৭৮ সালে ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
তিনি বিচারপতি থাকাকালীন তৎকালীন তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী জয়প্রকাশ প্রসাদ গুপ্ত দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন।
২০১৭ সালের এপ্রিলে, শাসকদল নেপালি কংগ্রেস ও সিপিএন (মাওবাদী কেন্দ্র)-এর সংসদ সদস্যরা সংসদে তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব আনেন, যার ফলে তাকে সাময়িকভাবে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব থেকে স্থগিত করা হয়। অভিযোগ ছিল তিনি একটি রায়ে পক্ষপাত দেখিয়েছিলেন, যা শক্তিশালী দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধানকে যোগ্যতার কারণে অপসারণে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।



