থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:০০ পিএম
ছবি- সংগৃহীত
থাইল্যান্ডের পার্লামেন্ট ব্যবসায়ী ও ধনকুবের আনুতিন চার্নভিরাকুলকে দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে। গত দুই বছরে এটি দেশটির তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন, যা রাজনৈতিক অস্থিরতার ইঙ্গিত দেয়। খবর বিবিসি।
এর আগে দেশটির প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে সীমান্ত নীতিতে কম্বোডিয়ার সঙ্গে সংঘাতের দায়ে সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেয়।
আনুতিনের দল ভুমজাইথাই শুরুতে সিনাওয়াত্রার ফিউ থাই পার্টির সঙ্গে জোটবদ্ধ থাকলেও পরে জোট থেকে বেরিয়ে এসে সংসদে ব্যাপক সমর্থন অর্জন করে। তবে থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এখনও অনিশ্চিত, কারণ আদালতের হস্তক্ষেপ ও সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে বারবার নেতৃত্ব পরিবর্তন ঘটছে।
আনুতিনের ক্ষমতায় আসা সিনাওয়াত্রা পরিবারের জন্য বড় ধাক্কা। ২০০১ সালে পেতংতার্নের বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এই পরিবার থাই রাজনীতিতে প্রভাবশালী অবস্থানে ছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে থাকসিনকে বহনকারী একটি ব্যক্তিগত বিমান দেশ ছাড়ার পর ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। শুক্রবার সকালে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, চিকিৎসার জন্য দুবাই গেছেন, তবে ৯ সেপ্টেম্বর আদালতের শুনানিতে অংশ নিতে দেশে ফিরবেন। ওই মামলায় তার কারাবরণের ঝুঁকি রয়েছে।
সিনাওয়াত্রা পরিবারের জনমুখী নীতিগুলো একসময় নিম্নআয়ের জনগণের বিপুল সমর্থন পেয়েছিল, তবে ব্যাংককের রক্ষণশীল রাজতন্ত্রী অভিজাতদের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে।
থাকসিন ও তার বোন ইংলাক—উভয়েই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, কিন্তু ২০০৬ ও ২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারান। পেতংতার্নের প্রধানমন্ত্রী হওয়া পরিবারটির রাজনৈতিক পুনরাগমনের ইঙ্গিত দিলেও তার অপসারণ প্রমাণ করে, অভিজাতদের আস্থা তারা আবারও হারিয়েছে।



