মার্কিন আদালতে ট্রাম্পের শুল্কনীতি অবৈধ ঘোষণা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৫, ১১:৪৪ এএম
ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরোপিত অধিকাংশ শুল্ককে অবৈধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আপিল আদালত। শুক্রবার দেওয়া ৭-৪ ভোটের রায়ে বলা হয়, ট্রাম্প আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা আইন (আইইইপিএ) ব্যবহার করে শুল্ক আরোপ করেছিলেন, অথচ এ আইনে প্রেসিডেন্টকে এ ধরনের ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। আদালত স্পষ্ট জানায়, শুল্ক আরোপ কংগ্রেসের সাংবিধানিক এখতিয়ার।
রায় অনুযায়ী, নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে আগামী ১৪ অক্টোবর। এর আগে চাইলে প্রশাসন বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে নিতে পারবে। বিশ্লেষকদের মতে, মামলাটি প্রায় নিশ্চিতভাবেই সর্বোচ্চ আদালতে গড়াচ্ছে।
রায়ের পর ট্রাম্প ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দেবে। তিনি দাবি করেন, শুল্ক প্রত্যাহার হলে দেশ আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে।
আদালতের ১২৭ পৃষ্ঠার রায়ে বলা হয়, আইইইপিএ-তে কোথাও ‘শুল্ক’ বা এ সংক্রান্ত কোনো শব্দ নেই এবং প্রেসিডেন্টকে শুল্ক আরোপের সীমাহীন ক্ষমতা দেওয়ারও কোনো বিধান রাখা হয়নি। বরং কর ও শুল্ক আরোপ কংগ্রেসের মূল ক্ষমতার অংশ হিসেবেই বহাল থাকবে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং কয়েকটি অঙ্গরাজ্য সরকারের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতেই এই রায় আসে। গত এপ্রিলে ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন, যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এর আগে নিউইয়র্কভিত্তিক কোর্ট অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডও শুল্কগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করেছিল, তবে আপিল চলায় রায় কার্যকর হয়নি।
শুক্রবারের রায়ে শুধু বৈশ্বিক শুল্কই নয়, চীন, কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর আরোপিত শুল্কও বাতিল করা হয়েছে। তবে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর আরোপিত শুল্ক এ রায়ের আওতায় আসেনি, কারণ সেগুলো ভিন্ন আইনি ক্ষমতাবলে কার্যকর হয়েছিল।
হোয়াইট হাউজের আইনজীবীরা সতর্ক করেছিলেন, এসব শুল্ক বাতিল হলে তা ১৯২৯ সালের মহামন্দার মতো আর্থিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তবে আদালত তাদের সেই যুক্তি প্রত্যাখ্যান করে রায়ে উল্লেখ করেছে, প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সীমার বাইরে গিয়ে শুল্ক আরোপ করা আইন ও সংবিধানের পরিপন্থি।



