গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে আরও ৬৫ ফিলিস্তিনি নিহত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১১:৪২ এএম
ছবি : সংগৃহীত
গাজায় ইসরায়েলের টানা হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মেডিকেল সূত্র। নিহতদের মধ্যে শুধু গাজা শহরেই প্রাণ হারিয়েছেন ৩৭ জন। ইসরায়েল সেখানে বড় ধরনের সামরিক অভিযানের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আক্রমণ জোরদার করেছে।
শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, শেখ রাদওয়ান এলাকার একটি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে চালানো বিমান হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। হামলার সময় বহু মানুষ ওই স্কুলের মাঠে অস্থায়ী তাঁবুতে অবস্থান করছিলেন।
আল জাজিরার যাচাইকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, শেখ রাদওয়ানের একটি ভবনের ওপর দিয়ে ইসরায়েলি একটি কোয়াডকপ্টার ঘোরাফেরা করছে। আতঙ্কিত লোকজন তা পর্যবেক্ষণ করছিলেন। কিছুক্ষণ পর সেটি লক্ষ্যবস্তুতে বিস্ফোরক নিক্ষেপ করে এবং বিস্ফোরণের পর ভবনটি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়।
এছাড়া গাজা শহরের তুফাহ এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে আরও একজন নিহত হয়েছেন বলে আল-আহলি হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হামাস যদি যুদ্ধ শেষ করার শর্ত না মেনে চলে, তবে গাজা শহর পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হবে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, হামাস সদস্যদের ওপর শিগগিরই নেমে আসবে নরকের দরজা—যতক্ষণ না তারা ইসরায়েলের শর্ত মেনে যুদ্ধ শেষ করতে রাজি হচ্ছে।
ইসরায়েলের শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে—সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া এবং হামাসের সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ। তবে হামাস জানিয়েছে, তারা জিম্মিদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত, কিন্তু ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের নিশ্চয়তা ছাড়া নিরস্ত্রীকরণ সম্ভব নয়।
এদিকে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় গৃহীত সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব হামাস মেনে নিলেও, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার বলেন, তিনি জিম্মি মুক্তি ও যুদ্ধ সমাপ্তি নিয়ে তাৎক্ষণিক আলোচনার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি নিশ্চিত করেছেন, গাজা শহর দখলের জন্য সেনাবাহিনীকে বড় ধরনের সামরিক অভিযানের অনুমতি দেওয়া হবে, যা আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হতে পারে।
সূত্র: আল-জাজিরা



