ছবি-সংগৃহীত
গাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এ সংকট আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ-সমর্থিত খাদ্য নিরাপত্তা মূল্যায়ন সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি)।
শুক্রবার প্রকাশিত আইপিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে গাজার প্রায় ৫ লাখ ১৪ হাজার মানুষ দুর্ভিক্ষে ভুগছে, যা মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ। সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ এ সংখ্যা বেড়ে ৬ লাখ ৪১ হাজারে পৌঁছাতে পারে। শুধু গাজা সিটি ও আশপাশের এলাকায় দুর্ভিক্ষে পড়েছে প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার মানুষ।
আগামী মাসের শেষে মধ্যাঞ্চলীয় দেইর আল-বালাহ এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে।
জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, এই পরিস্থিতি ইসরায়েলি সরকারের কর্মকাণ্ডের সরাসরি ফলাফল। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, অনাহারে মৃত্যু যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ আইপিসির প্রতিবেদনকে “মিথ্যা ও পক্ষপাতদুষ্ট” আখ্যা দিয়েছে। গাজায় সাহায্য প্রবাহের তদারককারী সামরিক সংস্থা কোগাট দাবি করেছে, আইপিসি তাদের প্রতিবেদনে ইসরায়েলের সরবরাহকৃত খাদ্য সহায়তার তথ্য উপেক্ষা করেছে।
তবে জাতিসংঘ বহুদিন ধরেই অভিযোগ করছে, ইসরায়েলের আরোপিত বাধা ও অস্থির পরিস্থিতির কারণে গাজায় যথেষ্ট ত্রাণ পৌঁছানো ও তা বিতরণে মারাত্মক সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, ব্রিটেন ও কানাডার অর্থায়নে পরিচালিত আইপিসি এর আগে কয়েকবার দুর্ভিক্ষ শনাক্ত করেছিল—
সোমালিয়া (২০১১),দক্ষিণ সুদান (২০১৭ ও ২০২০),সুদান (২০২৪)।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রয়টার্স/ইপসস জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৬৫% মার্কিনি গাজার অনাহারগ্রস্তদের সাহায্য করার পক্ষে মত দিয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলবিরোধী জনসমর্থন বাড়তে থাকায় তা দেশটির জন্য বড় রাজনৈতিক চাপ হয়ে উঠতে পারে, বিশেষ করে যখন তারা হামাসের পাশাপাশি আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের সঙ্গেও অমীমাংসিত সংঘাতে জড়িয়ে আছে। সূত্র : অনলাইন



