ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধবিরতি অনিশ্চিত, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘গুরুতর’ পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১২:২২ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ওয়াশিংটনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ ও ইউরোপের নিরাপত্তা পুনর্গঠনের সম্ভাবনা ঘিরে বিশ্বজুড়ে নজর কেন্দ্রীভূত হয়েছে। তবে তিন বছর ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রত্যাশিত বিরতি আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত সপ্তাহে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘গুরুতর’ পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিলেও সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্প জানান, যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন নাও হতে পারে। তিনি বলেন, “এই বছর আমি ছয়টি শান্তিচুক্তি করেছি—যার কোনোটিই যুদ্ধবিরতির ভিত্তিতে নয়।”
সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প আরও জানান, ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্র সক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট থাকবে। তার ভাষায়, “ইউরোপ ইউক্রেনকে নিজের অংশ মনে করে, আমরাও তাই করি। সে কারণে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা পাশে থাকব।”
তবে আলোচনার কেন্দ্রে এখন যে প্রস্তাব রয়েছে, তা হলো—নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিনিময়ে ইউক্রেন কিছু ভূখণ্ড ছাড় দিতে পারে কি না। রাশিয়া ইতিমধ্যে ডনেস্ক অঞ্চলের প্রায় ৮৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে রেখেছে এবং ক্রিমিয়া ফেরত দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। বিপরীতে, ইউক্রেনের সংবিধান ভূখণ্ড ছাড়ের অনুমতি দেয় না।
এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের বিজয় শুধু দখলকৃত ভূমি পুনরুদ্ধারে সীমিত না-ও থাকতে পারে। যদি তারা ন্যাটোর অনুচ্ছেদ–৫ অনুযায়ী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পায়, যা ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন প্রতিরোধে কার্যকর হবে, তবে সেটিই স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকার এক ধরনের বিজয় হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
তবু প্রশ্ন রয়ে যায়—হাজারো প্রাণের বিনিময়ে রক্ষিত ভূখণ্ড কি ছাড় দেওয়া সম্ভব? আর যদি ডনেস্কের অবশিষ্ট অংশও রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে যায়, তবে কি কিয়েভের নিরাপত্তা আরও ঝুঁকির মুখে পড়বে? শান্তিচুক্তির কাঠামো এখনো চূড়ান্ত নয়, তবে ভূখণ্ড ও নিরাপত্তা ইস্যুতে জটিল সমঝোতার সম্ভাবনা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।



