ভারত-পাকিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিন নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র: মার্কো রুবিও
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০১:৫৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ভারত ও পাকিস্তানের পারমাণবিক উত্তেজনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিদিন নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। একইসঙ্গে এই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।
সোমবার (১৮ আগস্ট) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেন, “যুদ্ধবিরতির জটিলতার একটি দিক হলো এটি ধরে রাখা, যা খুবই কঠিন। প্রতিদিন আমরা লক্ষ্য রাখি পাকিস্তান ও ভারতে কী ঘটছে।”
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “যুদ্ধবিরতি তখনই সম্ভব, যখন উভয় পক্ষ গুলি চালানো বন্ধে সম্মত হয়। কিন্তু রাশিয়া এখনো তাতে রাজি হয়নি।” তিনি আরও বলেন, “যুদ্ধবিরতি দ্রুত ভেঙে যেতে পারে, বিশেষ করে যখন যুদ্ধ দীর্ঘ সময় ধরে চলে। তবে আমি মনে করি, কেউই এই লক্ষ্যে দ্বিমত করবে না যে কেবল যুদ্ধবিরতি নয়, স্থায়ী শান্তি দরকার—যাতে বর্তমান ও ভবিষ্যতে সংঘাত না থাকে।”
ফক্স বিজনেসকে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে রুবিও আবারও ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমরা সৌভাগ্যবান যে আমাদের একজন প্রেসিডেন্ট আছেন, যিনি শান্তি প্রতিষ্ঠাকে প্রশাসনের অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আমরা তা দেখেছি কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত-পাকিস্তান, রুয়ান্ডা ও কঙ্গোতে। শান্তি প্রতিষ্ঠার যেকোনো সুযোগ আমরা অনুসরণ করব।”
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে চার দিনব্যাপী ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান হামলায় অন্তত ৬০ জন নিহত এবং হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রায় তিন দশকের মধ্যে এটিই ছিল দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত।
পাকিস্তান দাবি করে, তারা অন্তত পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে তিনটি রাফাল ফাইটার জেট ছিল। এই সংঘাতে প্রায় ৩০টি পাকিস্তানি ও ৭০টি ভারতীয় বিমান অংশ নেয়। প্রথমে ভারত বিমান হারানোর কথা অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করে যে পাকিস্তান কিছু যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
ট্রাম্প বারবার তার প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে দুই দেশের নেতাদের প্রশংসা করেছেন। তবে নয়াদিল্লি তার কোনও ভূমিকা থাকার কথা অস্বীকার করেছে। ইসলামাবাদ অবশ্য ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দিয়ে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছে।



