বাংলাদেশি স্কুলছাত্রীকে সেক্স ব়্যাকেট থেকে উদ্ধার
অনলাইন ডেস্ক :
প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৫, ০১:০৭ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
অভিমান করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া স্কুলছাত্রী দালালের খপ্পরে পড়ে তার স্থান হয়েছিল ভারতের পতিতা পল্লীর কোন এক সর্দারনীর ফ্লাটে। এর পর থেকে যা ঘটার তাই ঘটেছে। ভারতীয় পুলিশ খোঁজ পেয়ে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে রেখেছে। ইতোমধ্যে দালালসহ ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পাচারকারী চক্রের আরও সদস্যদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
পুলিশের ধারণা তাকে পাচার করার সময় যাতে ওই স্কুলছাত্রী পালাতে না পারে তার জন্য ওই সময় তাকে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মেয়েটিকে অকাল বয়ঃসন্ধিকালে প্ররোচিত করার জন্য হরমোনাল ইনজেকশন দেয়া হয়ে থাকতে পারে। এরপর তাকে দেহ ব্যবসায় ঠেলে দেয়া হয়েছিল।
১৪ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি কিশোরী সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের সেক্স ব়্যাকেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ, গত ৩ মাসে নাকি ২০০ জন ব্যক্তি তাকে যৌন নির্যাতন করেছে। মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার ভাসাইয়ের নাইগাঁওয়ের একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেই বাংলাদেশি নির্যাতিতার বয়ান খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্তও শুরু করেছে।
জানা গেছে, স্কুলে একটি বিষয়ে ফেল করার পরে সেই নাবালিকা বাংলাদেশে নিজের বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। পালানোর পর সেই নির্যাতিতার পরিচিত এক নারী তাকে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে ঢুকতে বাধ্য করে। এরপর তাকে দেহ ব্যবসায় ঠেলে দেয়া হয়েছিল। পুলিশ কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, মেয়েটিকে অকাল বয়ঃসন্ধিকালে প্ররোচিত করার জন্য হরমোনাল ইনজেকশন দেয়া হয়ে থাকতে পারে এবং তাকে পালাতে না দেয়ার জন্য ঘুমের ওষুধ দেয়া হয়ে থাকতে পারে।
পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, ১০ জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই মামলায়। তাদের মধ্যে ৬ জন বাংলাদেশি। এই নির্যাতিতাও ১০ জনের মধ্যে একজন ছিলেন। এছাড়া পাচার হওয়া আরও ২ জন বাংলাদেশি ছিল সেই আটকদের মধ্যে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে বলা হয়েছে, এক্সোডাস রোড ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং হারমনি ফাউন্ডেশনের যৌথ অভিযানে মীরা-ভায়ান্দার ভাসাই-ভিরার পুলিশের অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিট (এএইচটিইউ) উদ্ধার অভিযান চালিয়েছিল।
পালঘরের অভিযানের পর আটকদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত মোহাম্মদ খালিদ আব্দুল ব্যপারীর (৩৩) বিরুদ্ধে বিভিন্ন শহরে নারী পাচার করার অভিযোগ রয়েছে। জুবের হারুন শেখ (৩৮) ও শামিম গাফর সরদার (৩৯) নামক দুই দালালকেও ধরা হয়েছে। এই আবহে একটি বৃহত্তর চক্র উন্মোচনের চেষ্টা চলছে। এমবিভিভির পুলিশ প্রধান নিকেত কৌশিক জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় দল পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৭ জুলাই ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, অনৈতিক পাচার (প্রতিরোধ) আইন, পকসো আইন, জুভেনাইল জাস্টিসৎ অ্যাক্ট, ফরেনার্স অ্যাক্ট এবং পাসপোর্ট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সূত্র : অনলাইন



