ভারতীয় পোশাক রপ্তানিতে বিদেশি অর্ডার স্থগিত, চলে যাচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তানে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৫৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্কের প্রভাব ভারতের তৈরি পোশাক ও হোম টেক্সটাইল খাতে গভীর সংকট তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক কাঠামোর কারণে তামিলনাড়ুর তিরুপ্পুর, কোয়েম্বাটুর ও কারুর অঞ্চলের রপ্তানিকারকরা অর্ডার হারাচ্ছেন, ক্রেতারা সরে যাচ্ছেন বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার মতো প্রতিযোগী দেশে।
রোববার ভারতের ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, তিরুপ্পুরের রপ্তানিকারকরা মার্কিন ক্রেতাদের অর্ডার স্থগিত, বিলম্বিত কিংবা অন্য দেশে স্থানান্তরের বিষয়টি স্পষ্টভাবে অনুভব করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের কিছু নিটওয়্যার পণ্যে শুল্কহার ৬৪ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে, যা প্রতিযোগীদের তুলনায় ভারতীয় পণ্যের দাম ৩৫ শতাংশ বেশি করে তুলছে।
তিরুপ্পুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কে এম সুব্রাহ্মনিয়ান বলেন, ‘‘এটি বড় ধাক্কা। আমাদের মুনাফা মাত্র ৫ থেকে ৭ শতাংশ, সেখানে ক্রেতারা শুল্কের বোঝা ভাগাভাগি করতে বলছেন।’’ তিনি সতর্ক করে বলেন, মার্কিন বাজারে ভারতের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ, যেখানে শুল্কহার অনেক কম। ফলে অর্ডার হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
হোম টেক্সটাইল খাতেও একই সংকট দেখা দিয়েছে। কোয়েম্বাটুর ও কারুর অঞ্চলের রপ্তানিকারকরা জানান, বিছানার চাদর ও তোয়ালের মতো গ্রীষ্মকালীন পণ্যের অর্ডার স্থগিত হচ্ছে। সাউদার্ন ইন্ডিয়া মিলস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব কে সেলভারাজু বলেন, ‘‘এই মৌসুম মিস হয়ে গেলে আর সুযোগ পাওয়া যাবে না।’’
ভারতের তুলা আমদানিতে ১১ শতাংশ শুল্ক এবং কৃত্রিম তন্তুর ওপর জিএসটি-সংক্রান্ত অসঙ্গতিও রপ্তানিকে ব্যয়বহুল করে তুলছে। সেলভারাজু ও সুব্রাহ্মনিয়ান উভয়েই শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়েছেন, নইলে ভারত স্থায়ীভাবে মার্কিন বাজারে প্রতিযোগিতা হারাতে পারে বলে সতর্ক করেছেন।
তামিলনাড়ুর তিনটি অঞ্চলে সাড়ে ১২ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করেন। রপ্তানি ১০-২০ শতাংশ কমে গেলে এক থেকে দুই লাখ শ্রমিকের চাকরি হারানোর ঝুঁকি তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।



