কলম্বিয়ান ভাড়াটে সৈন্য বহনকারী সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি বিমানে হামলা করেছে সুদানের বিমানবাহিনী। এই হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছে।
৭ আগস্ট আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে, বুধবার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুদানের বিমানবাহিনী দারফুরে একটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিমান ধ্বংস করেছে, যেখানে কলম্বিয়ান ভাড়াটে সৈনিক ছিল। বিমানটি আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) নিয়ন্ত্রিত একটি বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময় এই হামলা চালানো হয়। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে আরএসএফ-এর সঙ্গে যুদ্ধরত সুদানি সেনাবাহিনী ওই বিমানবন্দরটিতে বারবার বিমান হামলা চালিয়ে আসছে।
সেনাবাহিনী-সমর্থিত রাষ্ট্রীয় টিভির খবর অনুযায়ী, গত বুধবার গভীর রাতে এই হামলা চালানো হয়। সামরিক সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিমানটি দারফুরের নিয়ালা বিমানবন্দরে বোমায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। বিমানটি একটি উপসাগরীয় বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করেছিল। এতে আরএসএফ-এর জন্য সামরিক সরঞ্জাম ও বিদেশি যোদ্ধা ছিল।
সুদান সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে আরএসএফ-কে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ করে আসছে। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একজন কর্মকর্তা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অন্যদিকে, কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো এই হামলায় নিহত তার দেশের নাগরিকদের মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। একইসঙ্গে তিনি ভাড়াটে সৈনিকদের কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য একটি আইন প্রণয়নের কথা বলেছেন।
সুদানে গত তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছেন এবং প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। দারফুরে তীব্র খাদ্য সংকট এবং কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, এল-ফাশের শহরে আটকা পড়া পরিবারগুলো অনাহারের ঝুঁকিতে আছে।



