বিশ্বের প্রথম ও বৃহত্তম স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক স্টারলিঙ্ক এবার পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক, যার মালিকানাধীন স্পেসএক্স কোম্পানি স্টারলিঙ্ক পরিচালনা করছে।

স্টারলিঙ্ক পাকিস্তানে সেবা চালু করার আবেদন করেছে। ইলন মাস্কের মতে, পাকিস্তান সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় তারা। স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী বিশ্বের বৃহত্তম স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক, যা পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে অবস্থান করা স্যাটেলাইটগুলোর মাধ্যমে কাজ করে। এই প্রযুক্তি বিশেষভাবে প্রযোজ্য যেখানে অপটিক্যাল ফাইবার পৌঁছানো কষ্টসাধ্য, যেমন দুর্গম এলাকা। স্টারলিঙ্ক উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকে।

পাকিস্তানে স্টারলিঙ্ক সেবা চালু করতে সহায়তা করছেন পাকিস্তানি নাগরিক সানাম জামালি। তিনি এক পোস্টে ইলন মাস্ককে ট্যাগ করে বলেন, স্টারলিঙ্ক পাকিস্তানকে একটি নতুন যুগে নিয়ে যেতে পারে, যেখানে প্রতিটি নাগরিক ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত হতে পারবে। এর কিছুক্ষণ পরেই ইলন মাস্ক জানান, তারা ইতোমধ্যেই পাকিস্তান সরকারের কাছে আবেদন করেছেন এবং এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় আছেন।

স্টারলিঙ্কের সেবা প্রবর্তন পাকিস্তানের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে দেখা যাচ্ছে। এটি শিক্ষা, যোগাযোগ এবং ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আসতে পারে, যা লাখ লাখ মানুষকে উপকৃত করবে। সানাম জামালি পাকিস্তানে স্টারলিঙ্কের লঞ্চ ত্বরান্বিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এদিকে, বাংলাদেশেও স্টারলিঙ্কের আগমন শিগগিরই হতে পারে। সরকার ইতোমধ্যেই ২০২৫ সালের মধ্যে স্টারলিঙ্কের কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা করছে। তবে আসন্ন আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে ইলন মাস্কের উপস্থিতি এই সময়সীমাকে ত্বরান্বিত করতে পারে। এই সম্মেলনে স্টারলিঙ্কের বাংলাদেশে আগমন নিয়ে আলোচনা হতে পারে, যা দেশের দুর্গম এলাকাগুলোতে ইন্টারনেট সেবা আরও সহজ ও কার্যকর করবে।

বাংলাদেশে স্টারলিঙ্ক এলে তার জনগণকে একটি নতুন ডিজিটাল দুনিয়ায় প্রবেশের সুযোগ দেবে। স্টারলিঙ্কের সেবা সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের জোগান বাড়াবে, বিশেষ করে যেখানে অপটিক্যাল ফাইবার পৌঁছানো সম্ভব নয়।

এইভাবে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে স্টারলিঙ্কের আগমন দুটি দেশেই ডিজিটাল বিপ্লবের সূচনা করতে পারে।