২০৩৬ সালের অলিম্পিক আয়োজনে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ব্যয়ের পরিকল্পনায় ভারত
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ভারত ২০৩৬ সালের অলিম্পিক আয়োজনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদি তারা আয়োজকের দায়িত্ব পায়, তবে এটি হতে পারে ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল অলিম্পিক আসর। দেশটির এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই আয়োজনের সম্ভাব্য ব্যয় হতে পারে সর্বোচ্চ ৬৪ হাজার কোটি রুপি।
এই পরিমাণ ব্যয় ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের প্রাক্কলিত খরচের (৪৩,৬৩৩ কোটি রুপি) তুলনায় প্রায় ২০ হাজার কোটি রুপি বেশি। ভারতের ক্ষেত্রে অলিম্পিক আয়োজনের জন্য ন্যূনতম ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪,৭০০ কোটি রুপি।
সম্প্রতি গুজরাটের গান্ধীনগরে অনুষ্ঠিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অলিম্পিক আয়োজনের সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে অলিম্পিকের সম্ভাব্য নীলনকশা উপস্থাপন করা হয়, যেখানে আয়োজনের সম্ভাব্য খরচের হিসাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, অলিম্পিকের বিভিন্ন ইভেন্ট আহমেদাবাদ ছাড়াও গান্ধীনগর, ভোপাল, গোয়া, মুম্বাই এবং পুনেতে আয়োজন করা হবে।
এই আয়োজনের ব্যয়ের একটি বিশদ পরিকল্পনাও তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে ভারতে অলিম্পিকের জন্য যে ক্রীড়া অবকাঠামো রয়েছে, তার উন্নয়নে বরাদ্দ রাখা হয়েছে মোট ব্যয়ের ৩০ শতাংশ। নতুন অবকাঠামো নির্মাণে খরচ হবে ৬০ শতাংশ এবং সাময়িক অবকাঠামো তৈরিতে ব্যয় করা হবে ১০ শতাংশ।
এতে দুটি আলাদা বাজেটের পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রথমটি আয়োজক কমিটির বাজেট, যা গেমস সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য নির্ধারিত। এই বাজেটের পরিমাণ ১৮,৬০০ কোটি থেকে ৪১,১০০ কোটি রুপি হতে পারে। এতে প্রতিযোগিতা আয়োজন, স্টাফ নিয়োগ, আবাসন, পরিবহন এবং সাময়িক অবকাঠামো নির্মাণের খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
দ্বিতীয় বাজেটটি খেলা সংক্রান্ত এবং এর বাইরের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য নির্ধারিত। এই ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬,১০০ কোটি থেকে ২২,৯০০ কোটি রুপি পর্যন্ত। এর মধ্যে বিদ্যমান ক্রীড়া অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং নতুন স্থাপনা নির্মাণের খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।



