শেষ ১২ বলে জয় পেতে ফরচুন বরিশালের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৪ রান। ১৯তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিটি করেন দুর্বার রাজশাহীর পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ফাহিম আশরাফ সেই পায়ে পাওয়া ফুলটস ডেলিভারিটি তুলে মারেন এবং তা গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের ছাদে গিয়ে পড়ে। এর আগে, ফাহিম রাজশাহীর বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দেন এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও দারুণ ব্যাটিং করে ম্যাচসেরা হন। এ দুজনের রেকর্ড জুটিতে সহজ জয় পায় চ্যাম্পিয়ন বরিশাল।
সোমবার, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উদ্বোধনী ম্যাচে ফরচুন বরিশাল দুর্বার রাজশাহীকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে। বড় লক্ষ্য তাড়ায় দুর্বল শুরুর পর মাহমুদউল্লাহ ও ফাহিমের ব্যাটিংয়ে জয় নিশ্চিত করে বরিশাল। দুইশ ছুঁইছুঁই লক্ষ্য ১১ বল হাতে রেখে জয় পায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। চার-ছক্কার পসরা সাজিয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে মাহমুদউল্লাহ ও ফাহিম দুজনই অপরাজিত থাকেন।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করে দুর্বার রাজশাহী। হাফ সেঞ্চুরি করা এনামুল হক বিজয় ও ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ইয়াসির আলী রাব্বি দলকে চাপমুক্ত করেন। এ দুজনের বড় জুটিতে ৩ উইকেটে ১৯৭ রান তোলে রাজশাহী। জবাবে ফরচুন বরিশাল ১৮.১ ওভারে জয় নিশ্চিত করে। বিপিএলে এটাই তাদের সফলতম রান তাড়া, আসরের ইতিহাসে যৌথভাবে তৃতীয় সেরা।
লক্ষ্য তাড়ায় ফরচুন বরিশাল প্রথম বলেই নাজমুল হোসেন শান্তকে হারায়। ৩০ রানের মধ্যে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও কাইল মেয়ার্সও ফিরে যান। ৫০ পেরিয়ে থামেন মুশফিকুর রহিম। তাওহিদ হৃদয় ২৩ বলে ৫টি চারে ৩২ রান করেন। তামিম ৭ ও মেয়ার্স ৬ রান করেন। রানের খাতা খুলতে পারেননি শান্ত।
৬১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর, মাহমুদউল্লাহ ও শাহিন শাহ আফ্রিদির ব্যাটে গতি পায় বরিশাল। ষষ্ঠ উইকেটে তারা ২৫ বলে ৫১ রান যোগ করেন। ১৭ বলে ২৭ রান করে আউট হন শাহিন আফ্রিদি। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও ফাহিমের রাজত্ব চলে। অষ্টম উইকেটে মাত্র ৩৫ বলে ৮৮ রান যোগ করেন এই দুই নায়ক।
রান তাড়ায় পঞ্চাশের বেশি রানের জুটিতে রেকর্ড গড়েছেন মাহমুদউল্লাহ ও ফাহিম। ম্যাচসেরা মাহমুদউল্লাহ ২৬ বলে অপরাজিত ৫৬ রান করেন এবং ফাহিম ২১ বলে ৫৪ রান করেন। রাজশাহীর পেসার তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ৩টি উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করা দুর্বার রাজশাহী শুরুটা ভালো করতে পারেনি। দলীয় ৫ রানেই ওপেনার জিসান আলম আউট হন। মোহাম্মদ হারিসও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২৫ রানে তিনি সাজঘরে ফেরেন। এরপর অধিনায়ক বিজয় ও ইয়াসির চাপমুক্ত করার দায়িত্ব নেন।
বিজয় ও ইয়াসির ৮৭ বলে ১৪০ রানের জুটি গড়েন, যা বিপিএলের তৃতীয় সেরা জুটি। বিজয় ৫১ বলে ৬৫ রান করেন এবং ইয়াসির ৪৭ বলে ৯৪ রান করেন। বরিশালের মেয়ার্স ২টি ও ফাহিম আশরাফ ১টি উইকেট নেন।