মার্টিনেজের যাদুতে সেমিতে আর্জেন্টিনা
যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার আসরে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট না থাকায় প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ সরাসরি টাইব্রেকারে গড়ায়। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর পেনাল্টি শুট আউটে ইকুয়েডরকে ৪-২ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
কোপা আমেরিকার ইতিহাসে কখনোই আর্জেন্টিনাকে হারাতে পারেনি ইকুয়েডর। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জয় যে কতটা কঠিন, তা এবারও হারে হারে টের পেলো দলটি। শেষ পর্যন্ত পরাজয়কে সঙ্গী করে কোপার ৪৮তম আসরের শেষ আট থেকেই বিদায় ঘণ্টা বাজলো তাদের।
লিওনেল মেসি এসেছিলেন দলের হয়ে প্রথম পেনাল্টি নিতে। গোলরক্ষক আলেকজান্ডার ডমিঙ্গেজকে ভুল পথে পাঠিয়েছিলেন বটে। কিন্তু তার প্যানেককা শট বারপোস্টে লেগে চলে যায় ওপরে। কিন্তু পেনাল্টিতে আর্জেন্টিনার ত্রাতা হয়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। দুই পেনাল্টি ঠেকিয়ে আরও একবার নায়ক বনে গেলেন এমি মার্টিনেজ।
২০২১ সালের কোপা আমেরিকা থেকেই পেনাল্টিতে আর্জেন্টিনার ভরসা হয়ে ছিলেন এমি। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ঠেকিয়েছিলেন ৩ পেনাল্টি। এরপর বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস আর ফ্রান্সের বিপক্ষে জয় তো ধরা দিল এমি মার্টিনেজের বিশ্বস্ত হাতে।
ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচে শেষ সময়ে গোল হজম করে বিপাকেই পড়েছিল টিম আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসির শট মিস হলে তাতে সংশয় বেড়ে যায় আরও খানিকটা। কিন্তু এমি মার্টিনেজ ঠেকালেন আনহেল মেনা আর অ্যালান মিন্দার শট। আর্জেন্টিনা গোল করল পরের চার শটেই। ইকুয়েডরকে সেখানেই হারাল আলবিসেলেস্তেরা। তাতেই আর্জেন্টিনা চলে যায় সেমিফাইনালে।
পুরো ম্যাচে ইকুয়েডরের ঝটিকা আক্রমণের সামনে ভুগতে হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। প্রথমার্ধে একাধিকবার দল বিপদের মাঝে পড়লেও লিসান্দ্রো মার্টিনেজের গোলে স্বস্তির এক লিড পেয়ে যায় তারা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের একেবারে শেষে এসে গোল হজম করতেই হলো আলবিসেলেস্তেদের। পুরো ম্যাচেই ইকুয়েডরের লং বলের সামনে বিপাকে পড়েছিল আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত বিপদটাও হলো সেখানেই।
হিউস্টনে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা যখনই জয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখনই যেন এলো ধাক্কা। যোগ করা সময়ের ১ম মিনিটে জন ইয়াবোয়াহর ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে ইকুয়েডরকে সমতায় ফেরান কেভিন রদ্রিগেজ। ১-১ গোলের সমতায় শেষ হলো নির্ধারিত নব্বই মিনিটের খেলা। কোপা আমেরিকার নিয়ম মেনে ম্যাচ চলে যায় সরাসরি পেনাল্টি শ্যুটআউটে। যেখানে গোলবারের নিচে নায়ক একজনই। এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।