সৌদিতে ‘দ্বিতীয় বাড়ি’ বানালেন রোনালদো, লোহিত সাগরের দ্বীপে কিনলেন ১১৬ কোটি টাকার দুই ভিলা
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
২০২৩ সাল থেকে আল নাসরের হয়ে খেলছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এই সময়ের মধ্যেই সৌদি আরব পর্তুগিজ তারকার কাছে হয়ে উঠেছে এক ধরনের ‘দ্বিতীয় বাড়ি’। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে লোহিত সাগরের এক নির্জন দ্বীপে দুটি বিলাসবহুল ভিলা কিনেছেন তিনি। এসব ভিলা কিনতে রোনালদোর খরচ হয়েছে প্রায় ১১৬ কোটি টাকা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোনালদো দুটি ভিলা কিনতে ব্যয় করেছেন ৭০ লাখ পাউন্ড, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। নুজুমা নামের লোহিত সাগরের এক বিলাসবহুল দ্বীপে অবস্থিত ভিলা দুটির প্রতিটির দাম পড়েছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ পাউন্ড করে। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে প্রায় ৮০০ মাইল বা ১ হাজার ২৮৭ কিলোমিটার দূরে এই নুজুমা দ্বীপ।
রোনালদোর কেনা এই ভিলাগুলো ‘লোহিত সাগর আন্তর্জাতিক প্রকল্প’-এর অংশ। ব্যক্তিগত দ্বীপে গড়ে তোলা এই বিলাসবহুল আবাসনগুলোর নকশা করেছেন বিখ্যাত ব্রিটিশ স্থপতি লর্ড নরম্যান ফস্টার। মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সাদা বালুতে ঘেরা দ্বীপটিতে রয়েছে মাত্র ১৯টি আল্ট্রা-প্রাইভেট ভিলা। স্বচ্ছ নীল জল আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা নুজুমা দ্বীপে নৌকা বা সি-প্লেন ছাড়া যাওয়ার অন্য কোনো উপায় নেই।
২০২৩ সালে প্রথম রিসোর্ট চালু হওয়ার পর থেকেই রোনালদো ও তার সঙ্গিনী জর্জিনা রদ্রিগেজ একাধিকবার লোহিত সাগর অঞ্চলে অবকাশ যাপন করেছেন। দ্বীপটির অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তাদের এতটাই মুগ্ধ করে যে শেষ পর্যন্ত এখানে নিজস্ব ভিলা কেনার সিদ্ধান্ত নেন পর্তুগিজ তারকা।
রোনালদো বলেন, আমরা যখন প্রথম এখানে এসেছিলাম, জর্জিনা আর আমি এই জায়গার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রেমে পড়ে যাই। এখানে আমরা সত্যিকারের শান্তি খুঁজে পাই। এখন নিজেদের বাড়ি হওয়ায় পরিবারকে নিয়ে ইচ্ছেমতো সময় কাটাতে পারব। জায়গাটা সত্যিই অসাধারণ।
বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল দ্বীপভিত্তিক আবাসন প্রকল্প হিসেবে পরিচিত ‘দ্য রেড সি রেসিডেন্সেস’-এর অংশ এই ভিলাগুলো। দ্য রেড সি ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী জন পাগানো বলেন, রোনালদো ও জর্জিনাকে দ্য রেড সি রেসিডেন্সেসে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। যারা নিরিবিলি পরিবেশে প্রশান্তি খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি এক অনন্য গন্তব্য। ভবিষ্যতে এ প্রকল্পে আরও নতুন উদ্যোগ নিতে আমরা আগ্রহী।



