এমবাপ্পের জোড়া গোলে বিপদ কাটাল রিয়াল, রোনালদোর রেকর্ডে চোখ ফরাসি তারকার
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩৫ এএম
সময়টা রিয়াল মাদ্রিদের জন্য স্বস্তির নয়। কোচ জাবি আলোনসোর ভবিষ্যৎ ঝুলছে অনিশ্চয়তার দড়িতে। এমন টানটান পরিস্থিতিতে কোপা দেল রের রাউন্ড অব ৩২-এ তৃতীয় স্তরের দল তালাভেরার বিপক্ষে আরেকটি অস্বস্তিকর রাত প্রায় উপহারই দিয়ে বসেছিল লস ব্লাঙ্কোসরা। শেষ পর্যন্ত কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোলে ৩-২ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে রিয়াল।
গত রাতে তালাভেরার মাঠে শুরুটা ভালোই করেছিল অতিথিরা। ৪১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে দেন এমবাপ্পে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে তালাভেরা ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল ফারান্দো স্তিপোভিচের আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান দাঁড়ায় ২-০।
দ্বিতীয়ার্ধের শেষভাগে ম্যাচে নাটকীয়তা বাড়ে। ৮০ মিনিটে নাহুয়েল আরোয়ো মাজোরার গোলে ব্যবধান কমায় তালাভেরা। তবে ৮৮ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে রিয়ালকে স্বস্তি এনে দেন এমবাপ্পে। যোগ করা সময়ে (৯০+১) গঞ্জালো দি রেঞ্জোর গোলে আবারও চাপ বাড়ে স্বাগতিকদের। শেষ মুহূর্তে গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন দৃঢ় না থাকলে ম্যাচ গড়াতে পারত অতিরিক্ত সময়ে। শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে রিয়াল।
এই ম্যাচে জোড়া গোল করে রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন এমবাপ্পে। চলতি বছরে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তাঁর গোল এখন ৫৮টি। আর দুই গোল করলেই ২০১৩ সালে রোনালদোর গড়া ৫৯ গোলের রেকর্ড ভেঙে যাবে।
ম্যাচ শেষে এমবাপ্পের প্রশংসায় ভাসান কোচ জাবি আলোনসো। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এমবাপ্পের গোলটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। গোলের প্রতি কিলিয়ানের তৃষ্ণা অসাধারণ। তৃতীয় গোলটা ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট, এজন্যই আমরা তাঁকে খেলাই।
চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত রিয়ালের হয়ে ২৩ ম্যাচে ২৮ গোল করার পাশাপাশি ৫টি অ্যাসিস্ট করেছেন এমবাপ্পে। এ বছরে রিয়ালের আর মাত্র একটি ম্যাচ বাকি। পরশু সেভিয়ার বিপক্ষে লা লিগায় মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
২০২৫-২৬ মৌসুমের লা লিগায় ১৭ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে রয়েছে রিয়াল। সমান ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা। সেভিয়ার বিপক্ষের ম্যাচেই এমবাপ্পের সামনে সুযোগ, রিয়ালের জার্সিতে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের ইতিহাসটা একেবারে নিজের করে নেওয়ার।



