ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশের জয় এখন সময়ের অপেক্ষা। জয়ের সুবাস নিয়েই যে সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ করেছে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর দল। অলৌকিক কিছু না হলে জয়টিও বড় ব্যবধানের হতে যাচ্ছে।
তৃতীয় দিন শেষে আয়ারল্যান্ড বড় বিপদে।
দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নেমে স্কোরকার্ডে ৮৬ রান যোগ করতে না করতেই ৫ উইকেট হারিয়েছে তারা। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের রান শোধ করতে এখনো ২১৫ রান প্রয়োজন তাদের।
শেষ বিকেলে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং ধসে নেতৃত্ব দিয়েছেন অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ। প্রতিপক্ষের শেষ ২ উইকেট তিনিই শিকার করেছন।
এর আগে উইকেট উদযাপনের শুরুটা করেন নাহিদ রানা। অভিষিক ইনিংসে ফিফটি করা ক্যাড কারমাইকেলকে ব্যক্তিগত ৫ রানে আউট করে।
দ্বিতীয় উইকেটে ৪৭ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামলিয়েছিলেন পল স্টার্লিং ও হ্যারি টেক্টর। তবে কাল হয়ে আসে রান আউটের ফাঁড়া।
স্টার্লিং ৪৩ রানে আউট হতেই ম্যাচের মোড় যায় ঘুরে। পরে আরো ৩ উইকেট হারিয়ে ৮৬ রানে দিন শেষ করে আয়ারল্যান্ড। ইনিংস হার থেকে বাঁচতে হলে আগামীকাল অবিশ্বাস্য কিছু করতে হবে দুই অপরাজিত ব্যাটার অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন (৪) ও ম্যাথিউ হামফ্রেইসকে (০)।
বাংলাদেশ রানের পাহাড় গড়লেও দিনের শুরুটা ভালো ছিল না। আক্ষেপের ছিল।
আফসোস নিয়ে যে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মাহমুদুল হাসান জয় ও মমিনুল হককে। মাহমুদুলের ডাবল সেঞ্চুরির বিপরীতে শতকের লক্ষ্য নিয়ে দিনের শুরুটা করেছিলেন মমিনুল। কিন্তু দলীয় খাতায় ৮ রান যোগ করতেই দুজনই ড্রেসিংরুমে ফেরেন। ১ উইকেটে ৩৩৮ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিলেন তারা।
মাহমুদুলের ক্যারিয়াসেরা ১৭১ রানের বিপরীতে ৮২ রানে থামেন মমিনুল। ১৪ চারের বিপরীতে ৪ ছক্কা হাঁকিয়েছেন মাহমুদুল। অন্যদিকে ২ ছক্কার বিপরীতে ৫ চার মেরছেন মমিনুল। তারা আক্ষেপে পুড়লেও ঠিকই তিন অংক স্পর্শ করেছেন শান্ত। ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। যদিও ১৪ চারে কাঁটায় কাঁটায় এক শ করার পর ইনিংসটা বড় করতে পারেননি তিনি। তার এই ইনিংসে একটা রেকর্ডও গড়েছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের চার ব্যাটার পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন। অপরজন হচ্ছেন গতকাল ৮০ রানে আউট হওয়া সাইফ হাসান।
পরে ফিফটি পেয়েছেন লিটন দাস। ওয়ানডে স্টাইলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। তার ৬৬ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৮ চারের বিপরীতে ১ ছক্কায়। এতে ২ সেঞ্চুরি ও ৩ ফিফটিতে ৮ উইকেটে ৫৮৭ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। যা টেস্ট ইতিহাসে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। প্রতিপক্ষের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন হামফ্রেইস।



