উগান্ডাকে গুড়িয়ে দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচনা করল আফগানিস্তান
প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৪, ১২:১০ পিএম
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উগান্ডাকে তাদের প্রথম ম্যাচেই ভালোভাবে ‘ক্রিকেট শিখিয়ে’ দিলো আফগানিস্তান। ছবি : সংগৃহীত
আফগানিস্তানের বিপক্ষে কী করবে উগান্ডা- এটা যেন ছিল অনুমিতই। তবুও, টি-টোয়েন্টি বলে কথা। যে কোনো দলই যে কারো বিপক্ষে জ্বলে উঠতে পারে; কিন্তু মাত্র ২০১৯ সালে টি-টোয়েন্টি খেলার মর্যাদা পাওয়া উগান্ডাকে বিশ্বকাপে তাদের প্রথম ম্যাচেই ভালোভাবে ‘ক্রিকেট শিখিয়ে’ দিলো রশিদ খানের দল।
গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান করেছিলো আফগানিস্তান। জবাব দিতে নেমে একের পর এক উইকেট হারিয়েছে উগান্ডা।
শেষ পর্যন্ত ১৬ ওভারে মাত্র ৫৮ রানে অলআউট হয়েছে আফ্রিকান দেশটি। ১২৫ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। পেসার ফজলহক ফারুকি ৪ ওভারে ৯ রান দিয়ে একাই নিলেন ৫ উইকেট।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্কোরে ৪র্থ স্থানে রয়েছে উগান্ডা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৩৯ রনের রেকর্ড রয়েছে নেদারল্যান্ডসের। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার কাছে এত কম রানে অলআউট হয়েছিলো তারা। ৪৪ রানেও একবার অলআউট হয়েছিলো ডাচরা। ৫৫ রানে অলআউট হয়েছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
অন্যদিকে আফগানিস্তানের ১২৫ রানের এই জয় রান বিচারে চতুর্থ সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ১৭২ রানে জিতেছিলো শ্রীলঙ্কা, কেনিয়ার বিপক্ষে ২০০৭ সালে। ১৩০ রানের দুটি জয় আছে, একটি দক্ষিণ আফ্রিকার স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০৯ সালে, অন্যটি আফগানিস্তানের স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২০২১ সালে।
দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইবরাহিম জাদরানের ১৫৪ রানের উদ্বোধনী জুটি রান বিচারে চতুর্থ সর্বোচ্চ। তবে উদ্বোধনী জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তাদের আগে রয়েছে অ্যালেক্স হেলস এবং জস বাটলারের করা অপরাজিত ১৭০ রানের জুটি, ভারতের বিপক্ষে।
১৬৮ রানের জুটি গড়েছিলেন রাইলি রুশো এবং কুইন্টন ডি কক, দ্বিতীয় উইকেটে। কুমার সাঙ্গাকারা এবং মাহেলা জয়াবর্ধনে ১৬৬ রানের জুটি গড়েছিলো দ্বিতীয় উইকেটে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এরপরই রয়েছে গুরবাজ আর জাদরানের ১৫৪ রানের জুটি।
আফগানদের করা ১৮৩ রান পাড়ি দিতে গিয়ে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে উগান্ডা। দু’জন মাত্র ব্যাটার রিয়াজাত আলি শাহ এবং রবিনসন ওবুইয়া দুই অংকের ঘর স্পর্শ করেন। সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন রবিনসন ওবুইয়া। ১১ রান করেন রিয়াজাত আলি। বাকিরা সিঙ্গেল ডিজিট। এর মধ্যে শুন্য রানে আউট হলেন চারজন।
ফজলহক ফারুকি ছাড়া ২টি করে উইকেট নেন নাভিন উল হক এবং রশিদ খান। ১টি উইকেট নেন মুজিব-উর রহমান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইবরাহিম জাদরানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১৮৩ রান সংগ্রহ করে আফগানরা। দুই ওপেনার ১৫৪ রানের জুটি গড়ে তুলেছিলেন।
তবে দুই ওপেনার যেভাবে ব্যাট করেছেন এবং রান তুলেছেন, আফগানিস্তান ইনিংসের শেষটা সেভাবে হলো না। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর শেষ ৬টি ওভারে কোনো রানই উঠলো না। বরং, ৫টি উইকেট হারিয়েছে রশিদ খানের দল।
১৫৪ রানের জুটি গড়ার পর ১৪.৩ ওভারে বিচ্ছিন্ন হন গুরবাজ এবং ইবরাহিম জাদরান। ৪৬ বল খেলে ৭০ রান করে আউট হন ইবরাহিম জাদরান। ৯টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ২ রান বিরতি দিয়ে ফিরে যান রহমানুল্লাহ গুরবাজও। ৪৫ বলে তিনি খেলেন ৭৬ রনের ইনিংস। ৪টি করে বাউন্ডারি এবং ছক্কার মার মারেন তিনি।
এরপর নজিবুল্লাহ জাদরান ২ রানে, গুলবাদিন নাইব ৪ রানে, আজমত উল্লাহ ওমরজাই ৫ রানে আউট হন। মোহাম্মদ নবি ১৪ রানে এবং রশিদ খান ২ রানে অপরাজিত থাকেন।
উগান্ডার বোলারদের মধ্যে কসমাস কিউয়াতা এবং ব্রায়ান মাসাবা নেন ২টি করে উইকেট। ১ উইকেট নেন আলফেস রমজানি।